ভোরবেলা এক রহস্যময় সাক্ষাৎ
তো ঘটনার শুরু হয় ২১ই মে ২০২৫ ভোর ৪:৩০-৫:০০ ভিতরে। ওইসময় টাইম চেক না করার কারণে ঠিক কয়টা বাজে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয় নাই। আমি সামনের রুমে ঘুমাই। আমার পরে মাঝখানের রুম। যেটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বড় ঘর'ও বলা হয়। তারপর পিছনের রুম। তো সেদিন বাসায় লোকজন কম থাকায় মাঝখানের এবং পিছনের রুমে কেউ ছিলো না। খালি ছিলো। আমার ঠিক বাম পাশের রুমে আবার আব্বা-আম্মায় ঘুমায়। আমি সামনের বারান্দায় ঘুমাই। আমার বেডের পাশেই আমার পড়ার টেবিল তার পাশেই মাথা বরাবর উপরে ১ ফিট বাই ১ফিট একটা আয়না। আব্বা প্রতিদিন ফজরের নামাজের আজান দেওয়ার সাথে সাথেই মসজিদে চলে যায় দরজা খুলে, এবং সেটা খোলাই থাকে। কিছুক্ষণ পর আম্মা উঠে সেজন্য আর বন্ধ করে না। আব্বা প্রতিদিন'ই আমায় ফজরের সময় ডেকে দিয়ে মসজিদে যায়।
আমার মাঝেমধ্যে যাওয়া হয় আবার যাওয়া হয় না। সেদিন ডেকে ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার পরে'ও কেনো যেনো আর যাই নাই। আব্বা চলে যাওয়ার সাথে সাথে আবার চোখটা একটু লেগে আসলো। আনুমানিক ১০ মিনিট হবে। তারপর হঠাৎ আমার ঘুমটা কেন যেনো ভেঙে গিয়ে আমার পড়ার টেবিলের পাশের আয়নাটার দিকে নজর গেলো। আমি তাকিয়ে দেখি লম্বা একজন মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার ঠিক পাশেই আরেকজন দাড়ানো, তার সামনে'ও মনে হচ্ছিল আরেকজন ছিলো, চোখের পালকে দেখলাম বাহির থেকে আরেকজন হেটে আসলো। যিনি সবার শেষে আসলে তিনি সবার চেয়ে খাটো। ৫ ফিটের মত হবে। সবার পড়নে ছিলো কালো বোরকার মত। জুব্বা ও বলা যায়। মাথায় ও কাপড়। মোটকথা মাথা থেকে পা পযন্ত কাপড়।
আমি প্রথম দেখা মাত্র'ই ভেবেছিলাম চোর। তারপর ভাবলাম এই শেষ রাতে (প্রায় ভোর) চোর কেন আসবে। তারপর আবার ভাবলাম হয়তো আম্মার কাছে কোন মহিলারা আসছে (প্রায় আসে আম্মার কাছে কারণ আম্মায় কি ঝাড়ায়-ফুকায় ইভেন আরো অনেক কাজে আবার তালিমের মহিলারা ও আসে)। এর মধ্যে আমি আবার চোর ভেবেই বাইরে উঠানের দিকে দৌড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছিলাম। তারমধ্য দেখলাম আম্মা উঠে মাঝখানের রুমের পাশের রুমের লাইটা জ্বালালো।
ওই রুমে আমরা খাওয়া দাওয়া করি যেটাকে 'রসি' ঘর ও বলে। কোন জায়গায় কি বলে জানি না আমাদের এখানে রসি ঘর বলে। রসি ঘরের বাতির আলো আবার মাঝখানের রুমেও আসে। আলো আসার সাথে সাথেই দেখলাম ওই লোকগুলো সব উধাও হয়ে গেলো। বাতি জ্বালানোর আগে কেবল একজন কে দেখা যাচ্ছিল বাকি সবাই ততক্ষণে ভিতরের দিকে চলে গেছে।
বাতি জ্বলতেই দেখলাম পিছে থাকা ওই লোকটা ভিতরের দিকে চলে গেলো।