ভুতের গল্প ৫৩ চিটাগং হালীশহরের ভুত

ঘটনাটি ২০০৮ এর
ডিসেম্বরের। তখন
আমি Inter final year এ
পড়ি। আমরা
বাসা চেঞ্জ করে
হালি শহর এলাকায়
একটা পাঁচ তলা
এপার্টমেন্টের 2nd
floor এ উঠলাম। ওখানে
যাওয়ার প্রায়
কয়েকদিনের মধ্যেই
আমার বাড়ির ছাদে
উঠার অভ্যাসহয়ে
গেল। ছাদে অন্য
ফ্ল্যাটের লোকজনরা
ও উঠত। একদিন
বিকেলে হঠাৎ
করেই একটামেয়ের
সাথে পরিচয় হল।
মেয়েটির নাম বলল
ইনছা। মেয়েটি
আমাকে জানাল
ইনছা নামের অর্থ
হচ্ছে সৃষ্টি।
মেয়েটি দেখতে
মায়াবী চেহারার
আর মাঝারি গড়নের।
আরওর ফ্যামিলি
নাকি তিন বছর ধরে
এই ফ্ল্যাটের পাঁচ
তলায় ভাড়া থাকে।
তার মানে এই
বাড়ির প্রথম থেকেই
ওরা ভাড়াটিয়া
হিসেবে থাকছে।
মেয়েটা আমার নাম
বলে দিল শাওন। আমি
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস
করলাম তুমি আমার
নাম কিভাবে
জানলে? আমরাতো
এখানে নতুন এসেছি।
সে আমাকে বলল,
আমাকে সে প্রথম
দিনই দেখেছে, আর
আমার ছয় বছরের
ছোট ভাইটার কাছ
থেকে আমার নাম
জেনেছে। এই বলে
সে হাসতে শুরু করল।
ঐদিন বিকেল থেকে
সন্ধ্যা পর্যন্ত তার
সাথে আমার কথা হল।
এইভাবে প্রতিদিন
ছাদের একটা
যায়গায় আমরা কথা
বলতাম।একদিন
মেয়েটি আমার কাছ
থেকে আমার ফোন
নাম্বার নিল আর
আমাকে একটা গিফট
দিল। গিফটা অসম্ভব
সুন্দর ছিল আর সেটা
ছিল মাটির
কারুকাজ। দেখতে
অনেকটা কলার
মোচার মত। এত সুন্দর
একটা শো পিছ
পেয়ে আমার খুবই খুশি
লাগলো। ইনছা
আমাকে বলল এটা খুব
যত্ন করে রেখে
দিতে আর বাসার
কাউকেই না
জানাতে। আমি
কাউকে না
জানিয়ে
সেটাকে আমার
রোমের ওয়ারড্রফে
রেখে দিলাম।
কিন্তু এরপর থেকেই
সব ঝামেলার শুরু হল।
একসময় আমি
মেয়েটির সাথে
খুবই ঘনিষ্ঠ হতে
থাকলাম। এবং আমি
প্রায় সারা রাতই
মেয়েটির সাথে
ফোনেকথা বলতে
থাকি। এমন একটা
সময় আসল যখন আমি
মেয়েটির সাথে এক
মুহূর্তও কথা না বলে
থাকতে পারতাম
না। মাঝে মাঝে
আমরা রাত ২টা ৩টা
পর্যন্ত কথা বলতাম আর
কথা বলতে বলতে
একসময় আমরা ছাদে
চলে যেতাম দেখা
করার জন্য। কিন্তু
আমি কখনও ভাবতাম
না যে ও কিভাবে
ছাদে আসত। এভাবে
প্রায় এক মাস চলে
গেল। হঠাৎ একদিন
আমার ছোটভাই
কাঁদতে কাঁদতে
আমার কাছে আসল। আর
কি জানি বলতে
চাইল। আমি জিজ্ঞেস
করলাম, কিন্তু ও কিছুই
বলতে পারল না। আমি
আমার রোমে গিয়ে
দেখলাম কেমন যেন
একটা আশ্চর্য গন্ধ
ছড়িয়ে আছে। গন্ধটা
আমার খুব পরিচিত
মনে হল, কিন্তু মনে
করতে পারছিলাম
না। গন্ধটা খুব
হালকা কিন্তু অনেক
দূর চলে যাওয়ার মত
একটা গন্ধ। এরপর
ঘরের কোনায়
তাকিয়ে আমি
দেখলাম যে, সুন্দর
যে শো পিছ তা
ছিল সেটা ভেঙ্গে
পরে আছে।আর আমি
একটা ভয়ংকর বিষয়
লক্ষ করলাম, মাটির
সেই শো পিছটার
ভেতরে গায়ে খুব শুক্ষ
ভাবে ছোট করে
কিছু লেখা আর কিছু
প্রতীক খোদাই করা
ছিল। আমি আমার
মাকে গিফটের
লেখা ও প্রতীক গুলির
কথা খুলে বললামআর
কে দিয়েছে সেটা
ও বললাম। মা অবাক
হলেন আর রাগ করলেন
আমার উপর। তিনি
সেগুলো
দেখতেচাইলেন আর
দেখে সব কিছু বুঝতে
পারলেন। ঐদিকে
ইনছা ও আজকে ফোন
ধরছিল না। আমি
ছাদে উঠে ইনছাকে
ফোন দিলাম। কিন্তু
খুব আশ্চর্য জনকভাবে
এই প্রথম ওর
নাম্বারটা বন্ধ
পেলাম। পরদিন মা
একজন হুজুরকে ডেকে
নিয়ে আসলেন আর হুজুর
এসে সব রহসের জট
খুলে দিলেন। তিনি
লেখা আর প্রতীকগুলি
দেখে সবকিছু বুঝতে
পারলেন। তিনি
বললেন, আমার সাথে
এক মহিলা জিন
অর্থাৎ পরির সম্পর্ক
ছিল। তিনি আমার
উপর পুরোপুরি
নিয়ন্ত্রণ করেছিল ওই
ছোট্ট উপহারটির
মাধ্যমে। আমার
ছোট ভাই খেলতে
গিয়ে ওটা ভেঙ্গে
ফেলায় সে আমার উপর
প্রচণ্ড খেপে আছে।
আর আমার মা আমাকে
যেটা বলল সেটা
শুনে আমি
একেবারেই স্তব্ধ
হয়ে গেলাম। মা
বলল, এই বিল্ডিং
হওয়ার পর থেকে এই
ফ্ল্যাটের পাঁচ
তলায়কোন
ভাড়াটিয়াই
টিকতে পারেনি।
তাই ওটা এখন খালিই
পরে থাকে। আমি
বিশ্বাস করতে
পারিনি, আমি দৌড়
দিয়ে পাঁচ তলায়
উঠে যাই। আর
সেখানে গিয়ে
দেখি এই প্রথম
বারের মত গেটে
তালা ঝুলছে।
তাহলে কি আমি
এতদিন ওটা দেখতে
পাইনি? আমি এতদিন
কিসের ঘোরের
মধ্যেছিলাম আমি
জানিনা। আমার
ভাই এই যাত্রায়
বেঁচে গেল।
তারপরআমি আর
কোনদিন ঐ নাম্বার
খোলা পাইনি।
পরে আমি কাস্টমার
কেয়ারে যাই এবং
অনেক কষ্ট করে
জানতে পারি যে,এই
নাম্বারে আসলে
কোন user নেই।
সমাপ্ত
রেসিপি দেখুন
No comments :

No comments :

Post a Comment