ভুতের গল্প ৫২ শীতের রাতের ভুত
আজকে আমি আমার দেখা একটি সত্য ভূতের কাহিনী বলব।ঘটনাটি গত বছরের এক অন্ধকার শীতের রাতের। অবশ্য ভূতের ঘটনা গুলো সাধারণত অন্ধকার রাতেরই হয়ে থাকে! যইহোক সেই রাতের দুই দিন আগে আমি গিয়েছি দাদুবাড়ীতে। আগেই বলে রাখি আমার দাদুর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যরা সেখানে গিয়েছেন তারা জানেন সেখানটায় অনেক জঙ্গল। চারদিকে গজারী বন আর বাশেঁর ঝাড়। আমাদের গ্রামে বাইরের মানুষ গেলে রীতিমত ভয় পান। তার উপর সেখানে নেই ইকট্রিসিটি ফলে গ্রামটিকে দিনের বেলা যত সুন্দর লাগে রাতের বেলা হয়ে উঠে ততই ভয়ানক আর ভুতুরে! তো সেখানে গেলে আমি আর আমার এক চাচাত ভাই সারাদিন একসাথে ঘুড়ে বেড়াই। আর আমাদের সাথী হয় ওর সাইকেল আর একটা চার্জার লাইট যা অনেকটা দুরের বাজার থেকে চার্জ করে আনতে হয়। সেইদিন আমরা দুপুরের দিকে বের হয়েছি। গন্তব্য প্রায় ৪ কি:মি:
দুরে একটা কনসার্ট। কনসার্ট শেষ হতে অনকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। আমরা দুইভাই বাড়ি ফিরছি। তারাতাড়ি পৌছার জন্য একটা শর্টকাট রাস্তা ধরলাম। ও সাইকেল চালাচ্ছে আর আমি পিছনে বসে লাইট ধরে আছি। কিছুক্ষণ পর হটৎ লাইটের বাল্বটা ফিউজ হয়ে গেল। আকাশে চাঁদ ছিলনা। তাই মুহূর্তের মধ্যেই চারদিক অন্ধকার হয়ে এল। যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম সেখানটা দিয়ে মানুষ সাধারণত রাতের বেলা চলাচল করত না। কারন আর একটু সামনেই রয়েছে একটা বাঁশ ঝাড়। সেই বাশঁঝাড়ের ভিতরে রাস্তার পাশে রয়েছে একটা কবর। সেই কবর আর বাশঝাড় নিয়ে গ্রামে নানা ভৌতিক কাহিনী প্রচলিত। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার তার উপর নির্জন রাস্তা...আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু কিছুই করার নেই। অনেক রাত হয়ে গেছে, তাই এই অবস্থাতেই সেই রাস্তা ধরে যাওয়ার সিদ্ধন্ত নিলাম। রাস্তাটি আমাদের ভালভাবেই চেনা ছিল।
তাই অন্ধকারের মধ্যে সে আমাকে নিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করল। সেই জায়গাটার কাছাকাছি এসে হটাৎ সাইকেল সহ আমরা পরে গেলাম। সাথে সথেই সমনের কবরের দিক থেকে ভয়ানক জোরে খচখচ শব্দ হতে লাগল। আমরা ভয়ে সাইকেল ফেলে উল্টা দিকে দিলাম দৌড়। একটুপর বাজার থেকে লাইট ঠিক করে আমরা দুই সাহসী (!)
ছেলে আর একজনকে (!?) নিয়ে সেই দিকদিয়ে এলাম। দেখি সাইকেলটা ওই খানেই পড়ে আছে আর সামনে থেকে কয়েকজন লোক আসছে। কাছে আসতেই তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করল আমরা এখানে কোন কিছুর শব্দ কিংবা কোনকিছু দেখেছি কিনা। কারন যা বলল তার সারমর্ম এরকমঃ তাদের মধ্যের একজন কিছুক্ষণ আগে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
হটাৎ কবরের স্থানটা থেকে ভয়ানক আওয়াজ আসতে লাগল। সেটি শুনে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন! আমাদের আর বুঝতে বাকী রইলনা য়ে ঘটনটা আসলে কী। জবাবে আমি কিছু বলার আগেই আমার ভাই বলে ফেলল '' হ আমরাও শুনছি...সব
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment