ভুতের গল্প ৫১ নীলাভ নুপুরের ভুত

"২০১৩ সাল, অক্টোবর মাস। গভীর রাত, জানালার পাশে বসে আছি। জানালার গ্লাস আর পর্দা ভেদ করে চাদের আলো আমার পড়ার টেবিলে এসে পড়ছে। ব্যাপারটা আরো উপভোগ করার জন্য জানালাটা খুলে দিলাম। চাদের আলো আর সাথে হালকা শীতল বাতাস। কবিতা লেখার ভুত চেপে বসল মাথার উপর। তবে চাদের আলোতে ভাল করে দেখতে পাচ্ছিলাম না। আর আলো জালিয়ে পরিবেশ টা নষ্ট করতে ইচ্ছা হলোনা। তাই বসে বসে গুন গুন করে গান গাইতে লাগলাম।

"বেশ কিছু সময় পর আচমকা রুম ঝুম নুপুরের শব্দ। আমি চমকে পিছনে তাকালাম। নাহ। কিছুই নাহ। আবার নীরবতা। ভাবলাম বাতাসে অন্য কিছুর শব্দ ভেসে আসছে। ২ মিনিট পর...আবার সেই রুম ঝুম শব্দ। এবার আমি পিছনে না তাকিয়ে চুপচাপ শুনতে লাগলাম। খেয়াল করলাম শব্দটা আমার পিছন দিয়ে এসে আমার টেবিলের ডান পাশে গিয়ে থামল। তবে শব্দটা ছিল একটা নুপুরের। মানে যদি এক পায়ে নুপুর পরে কেউ হাটে তাহলে যেমন শব্দ হবে, শব্দটা ঠিক তেমন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল কাউকেই দেখা যাচ্ছে না সেখানে। এবার চুড়ির শব্দ। মনে হল কেউ হাতে চুড়ি পরে হাত টা টেবিলের উপর রাখল। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। কিছুই বুঝতে পারলাম না। কি হচ্ছে এগুলো? আমি যেন চেয়ারের উপর জমে যাচ্ছি।

মিনিট কয়েক বাদে আবার রুম ঝুম... ... ... এবার শব্দটা যে পথে এসেছিল, সে পথেই চলে যেতে যেতে এক সময় মিলিয়ে গেল। আমি চেয়ার থেকে উঠে বেডে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম।

"***আকাশে মেঘ ও নেই আবার সুর্য ও নেই। বেশ ঠান্ডা একটা পরিবেশ। তবে বাতাসের ও উপস্থিতি নেই। কোন একটা মাঝারি আকারের ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আমি। ...রুম ঝুম... সেই নুপুরের শব্দ। পিছনে তাকিয়ে দেখি সাদা শাড়ী পরা এক তরুনী হেটে হেটে আমার দিকেই আসছে। খেয়াল করলাম তার এক পায়ে নুপুর নেই। অন্য পায়ে নীলাভ একটা নুপুর। চোখে মুখে একাকীত্তের ছাপ। আমার ৫ গজ দূরে থমকে দাঁড়িয়ে গেল। ডান হাতটা তুলে ধরল, নীলাভ একটা নুপুর সে হাতে। আলতো করে ছুড়ে দিল আমার দিকে। আমি ধরলাম সেটা......... ।।
"ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার। নিজেকে আবিস্কার করলাম বিছানায়। বুঝতে পারলাম না এটা সপ্ন নাকি সত্যি? "কারন? সেই নীলাভ নুপুরটা ... ...। যেটা এখন আমার হাতে।।