ভুতের গল্প ৫৪ চিটাগং হাটহাজারীর ভুত

এখন যে ঘটনাটি শেয়ার করবো সেই ঘটনাটি
ঘটে আমার নানা শশুড়ের সঙ্গে বলেছেন
আমার হুজুর সাহেব।
নানাকে আমি দেখতে পারিনি আমি তাদের
পরিবারে পা রাখার আগেই তিনি ভূবণ
ছেড়ে যান।
চিট্টাগংগ হাটহাজারি নানা বাড়ি তো
নানা কখনো বাড়িতে থাকতেন না সব সময়
পাহারে পাহারে থাকতেন।
তার নাকি পাহাড়ই বেশ প্রিয়ো লোকালয়
ছেড়ে।
নানা যখন নতুন বিয়ে করেন তখন এক
সপ্তাহের মত বাড়িতে থেকে আবার চলে
যান সেই বিশাল বড়বড় পাহরের এলাকায়।
তবে খুব ভাল মানুষ ছিলেন।পাহরের কাট
কেটে কেটে পাজা করে দিয়ে আসতো
বাসায়।
তো একদিন যখন কাট কাটছিলেন তখন দূর
হতে আওয়াজ তার কানে ভেসে আসল কারা
যেন
পবিত্র আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম তুলে
জিকির করছে।
ঐ দিন সে নাকি কাট কাটা বন্ধ করে
তাদের জিকিরে তাল মেলান।
২ দিন এমন চলে ৩দিনের দিন যা ঘটলো
তিনি দেখতে পেলেন একটা বিশাল বড়
একটা ঝুড়িতে কাঠালের অকৃতির অনেক বড়
বড় আম,আপেল,নানান রকমের ফল তবে
অবাক করা বিষয় হলো সব কটা ফল অর্ধেক
অর্ধেক খাওয়া মনে হলো কেউ এইমাত্র
রেখে গেলো।
তবে আসে পাশে কাওকে দেখতে
পেলেননা।
খেতে মন চাইলে ও খেলেননা বা ধরলেননা
নিজের লোভকে সামাল দিলেন।এভাবে
চললো,
৩ দিনের দিন আবার যা ঘটলো আর পারলেন
না নিজের লোভ কে আটকে রাখতে যেই না
হাত দিতে গেলো আর সব ফল গুলো এক এক
করে বিশাল সাপ আকারে রুপ ধারণ করে।
এর কিছুক্ষণ পড়ে ইয়া লম্বা পাঞ্জাবী
পরিহীত ১০/১৫ জন অদ্ভুদ চেহারার মানুষ।
নানা ভিষণ ভয় পেয়ে গেলেন। তারা
নানাকে কোন এক বিষয় অভিশপ্ত করে
কারন বিনা অনুমতিতে অন্যের জিনিসে
হাত দেওয়ার সাজা পেতেই হবে তারা
নানাকে এও বলেন তুই যদি চাইতি তোকে
পাহাড় সমান করে ফলমূল দিতাম।
তারপর নানা অনেক কাঁদেন তারা আবার
বলেন আমাদের কাছে নয় আল্লাহর কাছে
কাঁদ।সে যদি মাফ করেন তবে আমরা
কিছুইনা।
এরপর হতে
অনেক মাস বাড়িতে না গিয়ে সারাদিন
পাহারে অল্প পাগল হয়ে না খেয়ে ঘুরে
বেড়াত আর আল্লাহর কাছে কাঁদতো।
আবার একদিন তারা আসেন এসে বলে যান
যা তোর ক্ষমা হয়ে গেছে এটা নে নিয়ে
বিড়যা
এটা মতলব একটা মানুষের হাড় নানা ভাল
হয়ে যান পরে কাপা কাপা হাতে হাড়টি
নিয়া নেয়।
তারা এও বলে যে যখন সময় হবে তখন
আমরাই বলবো এটা ব্যাবহার করতে
খবরদার ! আর ভুল করিসনা।এটা একটা সময়
তোর অনেক উপকারে আসবে।
তারপর নানাজী বাড়িতে ফিরে এসে সব
নানীকে বলেন।
সব শুনে নানী নানাকে গোসল করে আসতে
বলেন এসে খাবার খাবে। তো নানা
নানীকে হাড়টা দিয়ে চলে যান ওয়াশ রুমে।
নানী দোয়া কালাম জানতেন কারো কিছু
হলে তার কাছে আসতেন।এমন সময়
এক মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে আসে পেট
ব্যাথা ফুক নিত।
তো নানী কী করল নানাকে না জানিয়ে
ভাবলো হয়তো এটা দিয়ে কোন কাজ হবে
হাড়টি নিয়ে এক গ্লাস পানির ভেতর
চুবিয়ে সেই পানে খেতে দিলো
বাচ্চাটাকে পানি খেয়ে আরো পেট
ব্যাথা বাড়ে এক সময় বাপ মার সামনে
বাচ্চাটা ছটফট করে মারা যায়।
নানী কষ্টের চোটে হাড়টি ছুরে ফেলে
দেয়।
তখনি নানা বেড় হয়ে এসব শুনে নানীকে
অনেক বকে ঘর থেকে বের হয়ে যাবে এমন
সময় সেই তারা আবার এসে বলে যায় আর
কোন লাভ হবেনা
তুই এখনি পাগল হয়ে যাবি।একথা বলতে না
বলতে নিজের কাপড় নিজে খুলতে শুরু
করে।
এক সময় পাগল হয়ে দৌড়ে চলে যায়।কেউ
আটকেও রাখতে পারলেননা।
আনেক বছর পাগল হয়ে একদিন তার ইতি
টানে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনাটি কেমন লাগলো বলতে ভুলবেন না
কেমন।