মা*র্ডার হওয়া ভুতের গল্প

 ১৩ মে ২০২৫ , ভোর ৬:৩৮, ভোরের ফজরের আজানের কিছু প্রহর পূর্বে আজ আমার জীবনে এমন কিছুর সম্মুখীন হয়েছি যা আমার ২০ বছরে কোনোদিন হইনি। শুধু আমিই না, সঙ্গে আমার ছোট ভাইও আজকের ঘটনর ভুক্তভুগি। এটি আমার জীবনের প্রথম কলিজা কাঁপানোর মতো ঘটনা এবং আমি ট্রমাটাইজড। এই ট্রমা থেকে কবে বের হবো জানিনা তবে বলা শুরু করি।

আমরা ২রা মে বাসা শিফট করি অর্থাৎ ঘটনাটি আমাদের নতুন বাসায় হয়। আমার ভাই সাফওয়ান এইচএসসি ক্যান্ডিডেট আর আমি মেডিকেল এডমিশন দিবো। তো দুজনেই রাত জেগে পড়ি পড়ার চাপ বেশিই থাকলে আর আব্বু আম্মু আমাদের পিচ্চিভাই আলিকে ( আমরা তিন ভাই বোন ) নিয়ে শুয়ে পড়ে আগে আগে।
মা*র্ডার হওয়া ভুতের গল্প

আজকেও সেইমভাবেই তারা শুয়ে পড়লো আর আমি এবং সাফওয়ান যে যার রুমে যার যার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আগেই বলে রাখি নতুন বাসা যেটাতে শিফট হয়েছি তা পুরোনো অনেকটা এবং যেই ফ্ল্যাটে উঠেছি এই ফ্ল্যাটে যে ছিল সে mur/dered হয়েছেন কয়েক মাস আগে তার নিজের উত্তরার ফ্ল্যাটে, এই বাসা তার ভাড়া করা ছিল আই মিন ফ্যামিলি নিয়ে এই বাসায় থাকতো, উত্তরায় থাকতো না ফ্যামিলি যতদূর জানি এবং শুনেছি। লোকটা আর কেউ না, তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটির উপাধ্যাক্ষ ছিলেন, এই নিউজ কম বেশি সবাই জানে হয়তো যে তিনি উত্তরার ফ্ল্যাটে দূর্বরিত্তদের হাতে mur/dered হয়েছেন।

তো যাই হোক বাসা নেয়ার সময় তার ওয়াইফ বলেছিলো তারা আর খরচ afford করতে পারছিল না বলে এই বাসা ছেড়ে দিচ্ছে। তাই বাসায় উঠার পর আর অন্য কিছু মাথায় আনিনি এসব বিষয়ে + কোনো প্রবলেমও ফিল করছিলাম না। তবে আজ যা ফিল করেছি তা ভেবে বারবার আমার হৃদস্পন্দন বাড়ছে আর লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। মূলত আমার ভাই পড়ালেখা করে ১:০০/১:৩০ টার দিকে শুয়েছিল এবং ফোন দেখছিলো। ঠিক তখন ও "ফুউউশশশ" সাউন্ড শুনতে পায়। ও জিনিসটা ইগনোর করে কারণ ওর রুমের জানালার পাশেই রাস্তা, গাড়ি যায়, পাশেই আবার বিল্ডিং আছে একটা সেখানে ওয়াশরুম এর সাউন্ড হতে পারে ভেবে তোয়াক্কা করেনি।

কিছুক্ষন পর আবার সেই সাউন্ড বাট রুমের মধ্যেই অন্য সাইড থেকে, মানে ধরুন যদি ও সাউন্ড রুমের ভিতরেই বাম দিক দিয়ে শুনতে পায় পরের বার শুনেছে ডান দিক দিয়ে এমন টাইপ আর কি। ও তারপরেও ইগনোর করেই যাচ্ছিলো। যতই ইগনোর করছিল ওর মনে হচ্ছিলো সাউন্ডটা ওর দিকে এগিয়ে আসছে এবং আরো জোরে "ফুউউউশশশ" বলছে। ও একটু ভয় পেয়ে আরেকটাবার শোনার অপেক্ষায় থাকে, ঠিক তখন ওর কানের কাছে সেইম সাউন্ড ও ফিল করে বেশ জোরে তাও মৃদু গরম বাতাস সহ। ও এতো ভয় পেয়ে যায় যে তৎক্ষণাৎ দৌড়ে আমার দরজায় নক করে এবং আমার ফোনেও কল দেয়। আমি ওকে এভাবে নক করার কারণ জানতে চাইলে ও আমাকে আমার রুমে দাঁড়িয়েই সবকিছু বলে। আমি উল্টো ওর সাথে মজা নিতে নিতে বলছিলাম "চল দেখি এক ভুতের রুমে আরেক ভুত কোত্থেকে আসলো!"

এরপর ওর রুমে যাই আর ওকে বলি লাইট অফ রাখতে আর চুপচাপ থাকতে। দুজনেই ফোন দেখছিলাম, দুজনের মুখের উপর জাস্ট ফোনের লাইট পড়ছিল তাই একে ওপরের ফেইস দেখতে পাচ্ছিলাম। ওর রুমে বসার ঠিক ২/৩ মিনিট পরেই "ফুউউউউউউউশশশশ" সাউন্ড যা ৩ সেকেন্ড লম্বা ছিল। আমি জাস্ট স্তব্ধ হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালাম ভেবেছিলাম হয়তো ও আসলেই আমাকে ভয় দেখানোর জন্য মুখ দিয়ে ওরকম সাউন্ড করছে। কিন্তু না! ও মুখ দিয়ে অমন সাউন্ড করেনি, অথচ স্পষ্ট আমাদের মনে হলো যে সেই অন্ধকারে আমি সাফওয়ান বাদেও অন্যকেউ আমাদের সামনে বসেই সাউন্ডটা বেশ জোরে করলো। কিন্তু বাসায় তো আমরা ফ্যামিলি মেম্বার্স ছাড়া আর কেউ নেইও।

তারপরে ওকে বললাম রেডি হ একসাথে দৌড় দিবো, যেই বলা সেই কাজ। দৌড়ে আব্বু আম্মুকে তুলছিলাম কিন্তু কোনোভাবেই আমাদের তারা বিশ্বাস করলো না, তাদেরকে বসিয়েও রেখেছিলাম সেই রুমে কিন্তু তারা কোনো সাউন্ড শুনেনি তাই আমাদের আরো অবিশ্বাস করলো। হয়তো আমিও যদি না যেতাম,সাফওয়ানকে আমিও হয়তো বিশ্বাস করতাম না, ওর মানসিক অবস্থা বুঝতাম না। তবে দুজনে আজকে zei ট্রমাতে চলে গিয়েছি তা আমি আর আমার ভাই সাফওয়ানই বুঝতেসি অনলি। সাফওয়ান এটাও বলে যে আমরা একসাথে লাস্টে যে সাউন্ডটা শুনলাম ওইটাই নাকি সবচেয়ে জোরে করা সাউন্ড ছিল যেটা ও শুনে আসতেছিলো সেই রাত ১:০০/১:৩০ টা থেকে। আমরা দুজন এতো ভয় পেয়েছি যে বলার মতো না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org