মানুষের বেশধারী ভূতের গল্প

আসসালামু আলাইকুম। আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মঈনুল রোড এর অপজিট কুয়াটারে থাকি। চার মাস আগে আমার বাবা ট্রান্সফার হয়ে এখানে এসেছে। আমার পরিবারে আমরা চারজন মা-বাবা, আমি আর আমার ছোট ভাই। বাবা কাজের জন্য বেশিরভাগ বাহিরেই থাকেন বাসায় আসেন অনেক রাতে।আমি আর আমার ভাই পড়াশোনার জন্য স্বন্ধ্যা পর্যন্ত বাহিরেই থাকি। মা বাসায় একা থাকেন। 

ইদানিং ঈদ এর আগে থেকে আমাদের সাথে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ঈদ এর আগে মা বাবা আর ছোট ভাই শপিং করে দাদা বাড়ি যান ওগুলো দিয়ে আসার জন্য আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাই আমাকে নেননি তারা। মা বলেছিলেন ফ্রিজে খাবার আছে গরম করে খেয়ে নিতে বা ওর্ডার দিতে। 

তো তারা ২৬ রমজানের দিন ইফতারের পর রওনা দেন। আমিও নামাজ শেষ করে পিসিতে হেডফোন কানেক্ট করে গেম খেলতে শুরু করি এর কিছু ক্ষন পর আমার মনে হয় মা আমাকে ডাকছে। আমি হেডফোন খুলে কিছুই শুনি না। এরপর রাত ১১ টার দিকে আমি ঘুমিয়ে যাই৷ ঘুমের মধ্যে আমার মনে হয় মা আমাকে ডাকছে গায়ে হাত দিয়ে। উঠতে বলছে সেহরির জন্য। আমিও ঘুমের মধ্যেই বলি উঠবো একটু পর৷ এরপর শুরু হয় রাগারাগি যেমন আমার মা বলে থাকেন যে আমার কথা কেউ শুনে না, কাউকে কিছু বলব না, খেলে খা না খেলে ঘুমা এমন ধরনের কথা।এরমধ্যেই আমার মনে পরে আমার বাসায় কেউ নেই আমি একা। তাহলে এই আওয়াজ কার।

আমি ততক্ষণে উঠে পরেছি তখনও গলার স্বর শুনতে পাচ্ছিলাম কিন্তু কিছু বুঝতে পারছিলাম না আম্মুরা এসেছে কিনা।তাই আমি আম্মু বলে ডাক দেই কিন্তু কোনো সাড়া পাই না। তখনও কিচেন থেকে থালাবাটির শব্দ আসছিলো আমি আয়তুলকুরছি পরে ফু দেই নিজেকে এরপর রুম থেকে বের হই কিন্তু বাসায় কেউ নেই কিচেনও ফাকা। কিন্তু কিচেনের সিংক ভেজা যেন এখনি কেউ কাজ শেষ করেছে।অথচ আমি কিচেনে কোনো কাজ করিনি। আমি পরে কিচেনের দরজা লাগিয়ে দেই। আম্মুরাও চলে আসে পরের দিন আমি কাউকে কিছু জানাইনি। কেউ বিশ্বাস করবে না তাই। আমি আর আমার ভাই আলাদা রুমে থাকতাম তো ২৮ রমজানের দিন বাবা কাজের জন্য দেরিতে বাসায় আসার কথা থাকলেও আসতে পারেননি। 

পরেরদিন আমার ছোট ভাই ঘুম থেকে উঠে বাবাকে খুজচ্ছিলো তো মা বলেন বাবা রাতে তো আসেননি। আমার ছোট ভাই তখন বলে রাতে নাকি বাবা ওর সাথে ঘুমিয়েছিলেন। আম্মু ওকে বকা দিয়ে বলেন এটা ওর স্বপ্ন এটা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। ঈদের দিন আম্মু কিচেনে কাজ করছিলেন এবং একা একা কথা বলছিলেন আমি ডাইনিং রুমে ছিলাম তখন, আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করি কার সাথে কথা বলো তখন আম্মু একটু অবাক হয় আর বলে তোমার বাবা বাবার সাথে। তখন আমি বলি বাবা তো বাহিরে গিয়েছে অনেকক্ষণ আগেই।এটা শুনে আম্মু কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হন কিন্তু কিছু বলেন না। বাবাও এগুলোর সাথে অবগত। রাতে আমি নাকি বাবাকে ডাকি। 

আমার রুম থেকে ভাঙচুরের আওয়াজ আসে। যখন আমার রুমে গিয়ে দেখে তখন নাকি সব ঠিক থাকে আমিও ঘুমিয়ে থাকি। কিন্তু আমি তো রাত জাগি না এগুলো কিছু করিও না তাহলে আওয়াজ কীভাবে আসে? আমাদের আগে যারা ছিলেন তারাও নাকি এই ঘটনা ফেইস করেছেন এবং এপ্লিকেশন দিয়ে অন্য বিল্ডিং এ চলে গিয়েছেন। এবং তাদের আগে যারা ছিলেন তাদের সাথেও সেইমই হয়েছে এবং ওই আপুটির অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। তারা এখনও এই এরিয়াতেই আছেন।তাদের সাথে বাবার কথা হয়েছে। বাবাও এখন এপ্লিকেশন দেওয়ার কথা চিন্তা করছেন। 

এই ফ্ল্যাটে কেউ আসার আগে মিলাদ পরানো হয় তবুও এমন ঘটনা ঘটে। এবং প্রায়ই দুপুরে অথবা রাতে কান্নার শব্দ আসে। এবং মাঝে মাঝেই করো নিশ্বাস ফিল হয়। কিন্তু কারো কোনো ক্ষতি হয় না। মাঝেমধ্যে অনেক জিনিস যেমন চিরুনি, রিমোট, চার্জার নিজ স্থানে আর পাওয়া যায় না কোথাও না কিন্তু এক-দুই ঘণ্টা পর একই জায়গাতে পাওয়া যায়।

ভূতের গল্প

ভুল  এবং এলোমেলো লেখার জন্য ক্ষমা করবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org