বদ নজর ও বদ জীন

খাদেমা আপা (সাধারণ ভাষায় যাকে সবাই বুয়া বলে) হঠাৎ করেই একদিন বলে উঠলেন তিনি আর নিয়মিত আসতে পারবেন না, উনার পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। 


বললাম তাহলে আপনার পরিবর্তে অন্য একজনকে আমার বাসায় পাঠাতে হবে, ডাক্তার তো আমাকে একদমই চলাফেরা করতে নিষেধ করে দিয়েছে, কারো না কারো সাহায্য তো লাগবেই, তার উপর আমার হাজব্যান্ড সবসময় বাসায় থাকেন না, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে উনার দূর দূরান্তে যাওয়া লাগে। বলাবাহুল্য তখন আমি Full Bed Rest এ।


আপা বললেন আচ্ছা ঠিক আছে আমি বিষয়টা দেখবো, ঠিকই তিনি অন্য একজনকে নির্ধারিত করলেন ও উনার সাথে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, এরপর থেকে নিয়মিত দ্বিতীয় খাদেমা আসা শুরু করলেন। 


প্রথম খাদেমা ছিলেন খুবই চুপচাপ স্বভাবের মানুষ, কিন্তু দ্বিতীয় খাদেমা অত্যন্ত বাচাল প্রকৃতির মানুষ, যতই উনাকে ইগ্নোর করা হোক না কেন ততই উনি কথা বলেই যাবেন। 


একদিন আমার একটু তাড়া আছে, ডক্টরের কাছে যেতে হবে বিধায় উনাকে দুপুরের পরিবর্তে সন্ধ্যার পূর্বে বাসায় আসতে বলি, কিন্তু উনি সেদিন আসতে আসতে প্রায় মাগরিবের আজানই দিয়ে দেয়, আর ওই টাইমে আমি আমার বিড়ালদের খাবার রেডি করছিলাম।


বাসায় তখন ৩টি বিড়ালের বাচ্চা ছিলো। তারমধ্যে একটি হলো দেশি বিড়াল, সে ছিলো খুবই আদরের বিড়াল, আর সে সর্বকনিষ্ঠ বিড়াল ছিলো। 


তার পছন্দের খাবার ছিলো মাছ মুরগী (সেদ্ধ/ভাজা), ডিম সেদ্ধ, পাউরুটি, পরোটা, চায়ে ভিজিয়ে টোস্ট বিস্কিট ইত্যাদি। তার এই পছন্দের খাবারের কথা আমরা শুধু ফ্যামিলির মানুষরাই জানতাম, বহিরের কাউকে আমরা কখনো বলিনি। (এমনিতেও আমাদের উত্তম নিয়ামতের কথা আমরা বাসার বাহিরে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করতে অপছন্দ করি) 


আর ওইদিন ২য় খাদেমা আমাকে খাবার রেডি করতে দেখে বলেছিলেন "শুধু মাছই দেন সাথে ভাত দেন না? উত্তরে আমি বলেছিলাম যে, ভাত খেলে বিড়ালের পশম পড়ে যায়। ওই রাত্র থেকে ৩টা বিড়ালই অসুস্থ হওয়া শুরু -বমি, অরুচি, পেট খারাপ, অকারণে শুধু মিউ মিউও করা সহ ইত্যাদি। 


ভেবেছিলাম হয়তো হঠাৎ করে শীত কমতেছে, গরম পড়বে এজন্য এই অবস্থা। যথাসম্ভব বিড়ালদের ট্রিটমেন্ট করালাম ও তাদেরকে ঔষধ খাওয়ালাম। দুইদিন পরেই দুপুর বেলা আমি ডিম রান্না করছিলাম ওই সময় উনি বাসায় Washroom পরিষ্কার করতে এসেছিলেন। উনি শুধু চুলা থেকে ডিম নামাতে দেখেছিলেন। ঐদিন পর্যায়ক্রমে বাসার সবার পেট খারাপ হয়, সেইটা থেকে সরে উঠতে ও খাওয়ার রুচি ঠিক হতে প্রায় চার-পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। 


পরে খেয়াল করলাম যে খাদেমা যেদিকেই নজর দেন সেদিকেই একটা না একটা কিছু হয়। যেমন শীতের মাঝামাঝিতে ফুলকপি/বাঁধাকপি যখনই বাসায় আসতো উনি দেখলেই সেটা নষ্ট হয়ে যেতো আর উনি না দেখলে সেটা ১মাস ও ফ্রীজে থাকতো শুকিয়ে যেতো, কিন্তু পঁচে যাওয়া বা নষ্ট হতোনা। 


এরপর থেকে আর কখনো উনার সামনে কোন খাবার রাখা বা উনি দেখবে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতাম। এখন হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে উনাকে বাদ দিলেই হয়! আসলে উনার পরিবারের অবস্থা খুবই করুন এবং আমার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা গুছানোর কাজে উনি সাহায্য করলে আমার যেমন উপকার হয়, তেমনি এই সাহায্যের বিনিময়ে উনাকে যে হাদিয়া দিব এতে উনার পরিবারেরও উপকার হয়, এইসব সাতপাঁচ ভেবে উনাকে তখন বাদ দেওয়া হয় নাই। 


যেই কথায় ছিলাম>> এসব ঘটনার কয়েক মাস পর -- আমার সেই সর্বকনিষ্ঠ বিড়ালটা খুবই এক্টিভ একটা বিড়াল ছিল, খাওয়া-দাওয়া ঘুম খেলাধুলা সব তার ঠিক মতোই ছিল। জানুয়ারির শেষের দিকে সে কোন কারণ ছাড়াই ভয় পাওয়া শুরু করে, জোরে কোন কিছুর আওয়াজ হলেই সে লুকিয়ে যেত, আমরা তাকে কোলে নিতে গেলেও সে ভয় পেতো, আর দীর্ঘ সময় খোলা জানালায় বসে থাকতো। 


তাকে আমি প্রায়ই আমার সাথে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতাম সেখানে যেয়েও সে খেলতো, কিন্তু শেষের দিকে একদিন মাদ্রাসায় যেয়ে সে একদমই খেলাধুলা করছেইনা, উল্টো সে ভ য় পেয়ে বারবার আমার বোরখার ভিতর লুকোচ্ছিল। 


আমরা ভাবতাম হয়তো আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে তাই সে এরকম করছে, একদিন শনিবার রাত বারোটা পর্যন্ত সে সদর দরজায় বসে বাহিরের দৃশ্য দেখছিল যেটা আমি খেয়াল করিনি -আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো তার রুমে ঘুমিয়ে আছে, আর যেহেতু বাসা ক্যাট প্রুফ করা, তাই বাসা থেকে বের হওয়ারও কোন উপায় নাই এজন্য নিশ্চিন্ত ছিলাম।  


কিন্তু যখন আমার হাজব্যান্ড ১২টার পর বাসায় আসেন তখন দেখলাম যে, সে সদর দরজায় বসে আছে। আর ওই রাত্রে সে অন্যান্য দিনের মতো এক্টিভ ছিল না। 


এরপর খাওয়া দাওয়াও তেমন করে নাই ঘুমিয়ে গেলো, ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠার পর সে অদ্ভুত আওয়াজ ও আচরণ করতে থাকে। যে বিড়াল টা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাকে খোঁজতো খাবার খোঁজতো আমার কোলে আসতো, সেই বিড়াল আমাকে চিনেইনা, তাও জোর করে কোলে নিলাম, কেননা সে আমার সন্তান তোল্য। 


একটা বিষয় বারবার আমাকে ভাবাচ্ছিলো সেটা হলো সে আমার কোলে থেকেই অন্য অদৃশ্য কিসের সাথে যেন সে হাত দিয়ে fight করছিলো আর ভয় পাচ্ছিলো, দোয়া পড়ে তাকে ফুঁ দিলাম, সে ঘুমিয়ে গেল কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর আবারও সেই পূর্বের ন্যায়। 


নিয়ে গেলাম Vet এর কাছে, ট্রিটমেন্ট চললো। কিন্তু ২দিনের মাথায় সে চলে গেলো, আমি যেন বিশ্বাস ই করতে পারছিলাম না, নিথর দেহটা জড়িয়ে ধরে কান্না করেই যাচ্ছিলাম। আমাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা বাসার কারো ছিলোনা।


সে যেদিন মা**রা যায় তার একদিন পূর্বে বাসার অন্যান্য সদস্যরা খুব বাজে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা সবাই ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের উপর দিয়ে কোন বি পদ যাবে, কিন্তু বিড়ালের উপর দিয়ে যে যাবে সেটা ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাইনি। 


ক্রমান্বয়ে অন্য বিড়াল খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। আর তিন বিড়ালের মধ্যে যেইটা বড় ছিল সে হঠাৎ এ রুম থেকে ওই রুমে কিসের সাথে যেন দৌড়াদৌড়ি মা রামা রি করত, শুরুতে ভেবেছিলাম হতে পারে female টার সাথে খেলছে, ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম যে সে একাই এসব করছে। 


সেই রাত্রেই শুরু করলাম বদ নজরের রুক ইয়া প্রসেস।


পানি রেডি করার পাশাপাশি Speaker এ যখন বদ নজরের আয়াত গুলো play হচ্ছিলো তখনই Female বিড়ালটার ছোটাছুটি শুরু হয়, আর male বিড়াল কান্নাকাটি করছিলো, বাসা থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছিলো আর সেই অদৃশ্য জিনিসটার সাথে fight করছিলো। 


এক পর্যায়ে Femaleটা বমি করতে থাকে, তাদের শরীর ও floor এর বমি পরিষ্কার করার জন্য একটি বোলে পানি নেওয়া হচ্ছিলো। তখনই সে বিদঘুটে স্বরে কান্না করতে থাকে। 


Male টা কোন কারণ ছাড়া aggressive হয়ে যাচ্ছিলো বারবার, সে টয়লেট করে দেয় পটি ট্রের বাহিরে। বলাবাহুল্য বিড়াল সব গুলোই পটি ট্রেইন্ড ছিলো তাই পটি ট্রের বাহিরে করা মানেই অবশ্যই অদ্ভুত কিছু। 


male টার রাগ ভাঙাতে যেয়ে মনে পড়লো পানি নেয়ার বোল তো কলের নিচে। যেয়ে সেইটা উঠিয়ে আনতে বোল উল্টে পড়ে পুরো রান্নাঘর পানিতে ভে সে যায়, মানে কী একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা।


অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন বিশেষ করে যারা বিড়াল পালেন যে, অধিক গরমে হয়তো এমন হয়েছে, বাসায় AC আছে বিড়ালদের room temperature সব সময়ই সহনীয় পর্যায়ে থাকে, না অধিক গরম না অধিক ঠান্ডা, তাই গরম লাগার প্রশ্নই আসে না। 


যাইহোক, অন্যজনের বমি বন্ধ হতে অনেক সময় লাগে। বন্ধ হবার পর রুম পরিষ্কার করা হয়, তখনো রুকইয়া চলছিলো। এরপর তাদের শরীর মুছে দেই। ২ জনই ঘুম দেয়, একটানা ঘুম শেষে সকালে উঠে।


Vet কে কল দেওয়া হয়, বাসায় এসে সব চেক করে বলেন যে তাদের (বিড়ালদের) কোন সমস্যাই নাই তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। কিন্তু আমরা তো জানি বিগত দিনগুলোতে আমাদের উপর দিয়ে কি যাচ্ছে, আর গতকালকেই বা কি হলো। Dr বিড়ালদের জন্য কিছু মেডিসিন লিখে দিয়ে চলে যান। 


রুক ইয়া ক্রমান্বয়ে ১ সপ্তাহ চলতে থাকে, পাশাপাশি মেডিসিনও চলতে থাকে, বিড়ালরা পূর্বের ন্যায় সুস্থ হয় সবই ঠিক হয়, ফিরে আসলোনা আমার সেই ছোট্ট বিলুইটা।


রুক ইয়া যখন শেষের দিকে তখন আমরা জানতে পারি আমাদের ছোট বিড়ালটা যে সামনের সদর দরজায় সবসময় বসে থাকতো তখনই তার ওপর বদজীনের নজর পড়ে।


যখন সে আমাদের ছেড়ে চলে যায় তখন সেই মাখলুক ও তার সঙ্গীরা বাকি দুইজনকে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে গিয়েছিল, কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াতে আল্লাহর রহমতে তাদের কোন ক্ষতি হতে পারেনি। 


আর ওই যে বাসার সদস্যরা স্বপ্ন দেখেছিল, তারা দেখেছিল আমাকে কে যেন কি কু ফরি টাইপ কিছু হয়তো করেছে ফলে আমার চেহারা মলিন হয়ে গিয়েছে, আর যেদিন বিড়ালটা মা *রা যায় সেদিন বড় বিড়ালটাকে স্বপ্নে দেখা হয়েছিল যে, তার ওপর দিয়ে ঘোর বিপ দ যাচ্ছে (আংশিক) 


সবকিছুর পরে আমরা জানতে পারি যে, আমাদের সেই খাদেমার বদনজর ছিল পাশাপাশি বদ জ্বীনের ও বদ নজর ছিল বিড়ালদের উপর। যেহেতু আমি সবসময় বিড়ালদের সাথেই থাকতাম, আর ওই রুকইয়া চালানোর জন্য কয়দিনের ছুটি ও নিয়েছিলাম আমার মাদরাসা থেকে, কোন কিছু করতে না পেরে সেই ব দ মাখলুকরা আমার উপর চ ড়াও হয়।


একদিন রাত্রে একটি একচোখা মাখলুক আমাদের বড় বিড়াল টার দিকে জানালার বাহিরে দাড়িয়ে তাকিয়ে ছিল, সেটা বুঝতে পেরে আমি জানালা লাগিয়ে দেই, আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এসে আমি ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বুকের উপর চ ড়ে বসে, বারবার আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছিল।  


অবশেষে যখন দেখলাম মাখলুকটা আমাকে ঘুমাতে দিবে না, বাম পাশে ৩বার থুতু দিয়ে জায়গা পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে গেলাম। হুজুর বাসায় আসলে উনাকে সব জানাই ও উনি ব্যবস্থা নেন। 


পরে হুজুর থেকে যা জানতে পারি তা ছিল অত্যন্ত ভয়ানক, ক্রমাগত তারা তিনটা বিড়ালের উপরই আ ক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে, বড় বিড়ালটি যথেষ্ট ল ড়াই করে বেঁচে যায়, সে নিজের জন্য পাশাপাশি ফিমেল বিড়ালটার (ওরা couple ছিলো) জন্য লড়াই করেছিল, কিন্তু মা *রা যাওয়া বিড়ালটা অধিক ছোট হওয়াতে একা একা তেমন কিছুই করতে পারেনি, ১ম মাখলুকটির শারীরিক গঠন কুকুর ও শিয়ালের মতো হলেও তার মুখটা ছিল অ জগ র সা পের মত, আর ২য় টি ছিলো একচোখা, উচ্চতায় ৬/৭ বছরের বাচ্চার মত।


আমরা হাদিসের আলোকে জানতে পারি-----


১| আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেনঃ


عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم العين حق


বদ নজর সত্য। (বুখারীঃ ১০/২১৩) অর্থাৎ এর বাস্তবতা রয়েছে, এর কুপ্রভাব লেগে থাকে।


২| আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ


ا ستعيذوا بالله من العين فإن العين حق


তোমরা বদ নজরের ক্রিয়া (খারাপ প্রভাব) থেকে রক্ষার জন্যে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য প্রার্থনা কর। কেননা তা সত্য। (ইবনে মাযাহঃ ৩৫০৮)


৩| ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ


العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا


বদ নজর (এর খারাপ প্রভাব) সত্য এমনকি যদি কোন বস্তু ত্বাকদীরকে অতিক্রম করত তবে বদ নজর তা অতিক্রম করত। সুতরাং তোমাদেরকে যখন (এর প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্যে) গোসল করতে বলা হয় তখন তোমরা গোসল কর । (মুসলিমঃ ১৪/১৭১)


ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ


العين حق تستنزل الحالق


অর্থঃ বদ নজর ত্যি তা যেন মানুষকে উপর থেকে নীচে ফেলে দেয়। (ইমাম আহমদ ও তা রানী আলবানী হাসান বলেছেনঃ ১২৫০)


৪| জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ


العين تدخل الرجل القبر وتدخل الجمل القدر


অর্থঃ বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে । (সহীহ আল জামেঃ শাইখ আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেনঃ ১২৪৯)


অর্থাৎ মানুষের নজর লাগায় সে মৃ ত্যুবরণ করে, যার ফলে তাকে ক বরে দাফন করা হয়। আর উটকে যখন বদ নজর লাগে তখন তা মৃ ত্যু পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সেটা যবাই করে পাতিলে পৌছায়।

সমাপ্ত 

লেখিকা ©️Jannatul Humaira Faiza ☑️


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org