ভুতের গল্প ৩৪ মৃত পুতুলের ভুত
দ্বীপটির নাম Island of the dolls
বা পুতুলের দ্বীপ।মেক্সিকোর
রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ১৭
মাইল দক্ষিনে জোকি মিলকো জেলায়
অবস্থিত এই দ্বীপটি দেখতে কেমন
যেন গা শিউরে দেয়ার মতো।এই
দ্বীপকে ঘিরে রয়েছে কিছু
ভূতুড়ে কাহিনী।আজ থেকে ৮০ বছর
আগের কথা তিন মেক্সিকান শিশু
পুতুলের বিয়ে দিচ্ছিল
গাছে ঢাকা শীতল অন্ধকার এই
দ্বীপটিতে।খেলতে খেলতে তাদের
একজন নিখোঁজ!পরবর্তী সময়ে দ্বীপের
পাশেই একটি খালে পাওয়া গেল তার
মৃতদেহ।এরপর থেকে ভয়ে কেউ ঐ
দ্বীপের ত্রি-সীমানা মাড়য়নি।এ
ঘটনার ৩০ বছর পরের কথা,১৯৫০ সালের
দিকে জুলিয়ান সানতানা নামের এক
ধর্ম যাজক নিজর্নে তপস্যা করার জন্য
দ্বীপটিকে বেছে নেন।জুলিয়ানের
ভাষ্য অনুযায়ী দ্বীপটিতে আশ্রম
গড়ে তোলার পর থেকে তার সঙ্গে মৃত
শিশুটির আত্মার প্রায়ই কথা হয়!
শিশুটির আত্মা তার কাছে পুতুলের
বায়না ধরে। তবে যেমন তেমন পুতুল
নয়,বীভত্স সব পুতুল চেয়ে বসতো সে।ওই
আত্মার অনুরোদে জুলিয়ান তার
আশ্রমে চাষ করা সবজির বিনিময়
মানুষের কাছ থেক নস্ট পুতুল সংগ্রহ
করতে থাকেন।
এবং সেগুলো এনে গাছের
ডালে বেঁধে রাখলেই
খুশি হতো শিশুটির আত্মা।
এমনিভাবে হাজার হাজার সংগ্রহ
করা পুতুল দিয়ে জুলিয়ান
গড়ে তোলে মৃত পুতুলের দ্বীপটি।কেউ
কেউ বিশ্বাস করে মৃত শিশুটির
আত্মা দ্বীপটিতে এখন ও
ঘোরাঘুরি করে।
মাঝে মাঝে শোনা যায়
ভূতুড়ে আওয়াজ।এতসব রহস্যের কারণেই
১৯৯০ সালে মেক্সিকান সরকার
দ্বীপটিকে National Heritage
ঘোষণা করে।কিন্তু পর্যটকরা কদকার
এসোব পুতুল দেখে বোধ হয়
রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতে চাননা।তাই
একেক মৌসুমে ৬০ থেকে ৭০ জনের
বেশি পর্যটক কখনো এই
দ্বীপে আসেনা।
এই দ্বীপের সর্বশেষ রহস্যজনক
ঘটনা ঘটে ২০০১ সালে ২১ এপ্রিল।ঐ
দিন জুলিয়ান তার বোনের
ছেলেকে নিয়ে সেই অপয়া খালে মাছ
ধরছিল।সে সময় তিনি তার
ভাগ্নেকে বলে,পানির নিচ
থেকে আমাকে কারা যেন
ডাকছে,তারা আমাকে তাদের
সাথে যেতে বলছে।এর কিছুদিন পরে ঐ
খাল থেকে উদ্ধার করা জুলিয়ানের
নিথর দেহ।
সূত্র-অবাক পৃথিবী(দৈনিক কালের কন্ঠ)