ভুতের গল্প ৯ ছদ্মবেশী

যে ঘটনাটি বলতে যাচ্ছি তা আমার নানীর মুখে শোনা।ঘটনায় আসি।আমার নানারা ছিলেন ২ ভাই। পুরান ঢাকায় নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে তারা তাদের পরিবার নিয়ে যৌথভাবে বাস করতেন।তাদের বৃদ্ধ মা তাদের সাথে থাকতেন।ঘটনাটি ঘটে আমার বড় নানার সাথে।নানারা যে বাড়িতে থাকতেন তার পূর্ব-দহ্মিণ বরাবর টয়লেট ছিল,এর পাশেই ছিল এক বেলগাছ।বাড়িতে একটি মাত্র টয়লেট থাকায় এবং অনেক মানুষ তা ব্যবহার করার কারনে স্বাভাবিকভাবেই তা নোংরা হত।বড় নানা প্রতিদিন ফজরের ওয়াক্তে উঠে টয়লেট পরিষ্কার করতেন।ঘটনাটি যেদিন ঘটে সেদিন ছিল পূর্নিমা।

চাঁদের আলোয় চারদিক ভেসে যাচ্ছিল।হঠাত্‍ কোন কারনে নানার ঘুম ভেঙে যায়।তিনি বাইরে তাকিয়ে দেখেন চারদিক ফর্সা হয়ে আছে।তিনি মনে করেছিলেন ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে।তো একটি ঝাড়ু,এক বালতি পানি ও একটি হারিকেন নিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করতে গেলেন।চোখে ঘুম থাকার কারনে তিনি বুঝতেই পারেননি তখনও ভোর হতে অনেক দেরি।টয়লেটের কাছাকাছি গিয়ে তিনি দেখেন তার মা টয়লেটের সামনে বসে আছে আর গোঙাচ্ছে।তিনি বললেন,মা এত রাতে এখানে কি কর? তার মা বলল, বাবা আমি টয়লেটে এসেছিলাম, ফেরার পথে পরে গেছি।হারিকেনটা রেখে আমার কাছে এসে আমাকে টেনে তোল ।নানা হারিকেন রেখে তার মার দিকে যেতে লাগলেন।হঠাত্‍ পেছনদিক থেকে তার মা তাকে ডাক দিল, ইউসুফ কার সাথে কথা বলছিস? এত রাতে টয়লেট পরিষ্কার করতে এসেছিস কেন? কেবল রাত ২টা বাজে।তিনি পিছনদিকে ঘুরে দেখেন তার মা হারিকেন হাতে দাঁড়িয়ে আছে।টয়লেটের দিকে তত্‍হ্মনাত্‍ ঘুরে দেখেন সেখানে কেউ নেই।সাথে সাথে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান।তার অনেক জ্বর আসে।৩ দিন পর তার জ্বর কমে যায়।এরপর একজন হুজুর ডেকে আনা হয়।তিনি বাড়িতে ঢুকেই বলেন এখানে খারাপ একটা জিনিস আছে।টয়লেটের পাশের বেলগাছটাই ওটার আস্তানা।সেদিন রাতে নানার মা যদি নানাকে না থামাতেন তাহলে জিনিসটার কাছে গেলেই তা নানাকে মেরে ফেলত।এরপর তিনি বাড়িটা বন্ধক করে দেন এবং বেলগাছটি কেটে ফেলতে বলেন।বেলগাছটি তার কথা অনুযায়ী কেটে ফেলা হয়।এরপর আর কোন সমস্যা দেখা দেয়নি।

বিঃদ্রঃ এটি একটি সত্য ঘটনা। বিশ্বাস করা না করা আপনাদের ব্যাপার ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org