ভুতের গল্প ১০ জঙ্গলের দিকে দিল দৌড়
ঘটনা টা আমার আম্মুর কাছ
থেকে শোনা । আম্মু তখন অনেক ছোট ।
আমি আম্মুর হয়ে বলছি -
আমাদের বাড়ির বর্ণনা টা একটু দেই,
বাড়ির পাশে ছিল একটা ঘন জঙ্গল, তার
পাশে ছিল মাঠ, পুকুর ইত্যাদি । জঙ্গলের
ভিতরে ছিল একটা শিমুল গাছ । জঙ্গল
থেকে দুরে আরও দুটি বড় শিমুল গাছ ছিল
। গাছগুলোকে সবাই ভুতুরে গাছ বলেই
জানত ।
এবার ঘটনায় আসি, আমার বয়স তখন ১৩
কি ১৪ হবে । আমরা এবং আমাদের
চাচা, কাকারা একসাথে থাকতাম ।
আমার এক চাচির সারা শরীরে অনেক
ব্যাথা ছিল যে জন্য
সে একা একা চলাচল করতে পারতনা।
সে কোথাও গেলে তার
সাথে একজনকে যেতে হত । একদিন
রাতের
বেলা সে বাথরুমে যেতে চাইলে
আমি তার সাথে যাই । গ্রামে সাধারণত
বাথরুম থাকে বাড়ি থেকে অনেক দুরে ।
আমাদের বাথরুম টা ছিল জঙ্গলের
দিকে ।
আমি চাচিকে ধরে ধরে নিয়ে গেলাম
বাথরুমের দিকে । সে যখন বাথরুমের
কাছাকাছি গেল তখন যেটা হল
সেটা আমি এখনও বিশ্বাস
করতে পারিনা ।
সে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে
জঙ্গলের দিকে দিল দৌড় ।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম, ভাবলাম
এটা কিভাবে সম্ভব । যে একা কিছু
করতে পারেনা সে কিভাবে আমাকে
ধাক্কা মেরে দৌড় দিল ?
আমি গিয়ে সবাইকে বিষয়টা বললাম ।
সবাই জঙ্গলের দিকে খুজতে চলে গেল,
সাথে আমিও গেলাম । সে সময় টর্চ
লাইট ছিলনা । সবাই মোমবাতি,
কুপি সাথে নিয়ে গেল ।
খুজতে খুজতে সবাই একসময় জঙ্গলের
ভিতরের শিমুল গাছটার কাছে গেল ।
গিয়ে দেখল চাচি গাছটার গোঁড়ায়
অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে । সবাই
তাকে কাঁধে করে বাড়ি নিয়ে গেল ।
জ্ঞান ফিরার পরও
সে ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে পারলনা ।
পরে একটা কবিরাজ আনা হল । তারপর
কবিরাজ যেটা বলল সেটা হল, এই
বাড়ীতে একটা ভাল জিন এবং ঐ শিমুল
গাছটায় একটা খারাপ জিন বসবাস
করে । শিমুল গাছটার জিন সবার অমঙ্গল
করতে চায় এবং বাড়ির জিন তার খারাপ
কাজে বাধা দেয় ।
খারাপ জিন আমার চাচিকে
মেরে ফেলতে চেয়েছিল । সে জন্য
তাকে বাথরুমের
সামনে থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ।
খারাপ জিন টা যদি চাচিকে গাছের
উপর তুলতে পারত
তাহলে চাচিকে বাঁচানো যেত না।
ভাল জিন চাচিকে গাছের উপর
তুলতে দেয়নি এবং তাকে মারতে দেয়নি
।