লাল শাড়ির জ্বীন: রেলপথের বিভীষিকা
আসসালামু ওয়ালাইকুম।
ছোট থেকে আমার সাথে অনেকবারই প্যারানরমাল বা জ্বীনের মুখোমুখি হয়েছি। তো তেমনি একটা গল্প শেয়ার করি।
সময়টা ২০১৭ এর নভেম্বর এ৷ একদম পুরোপুরি শীত ছিলো না। তো আমাদের গ্রামের পাশের এলাকায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ছিলো। একটু রাস্তার বিবরণ দেই- সেটা ছিলো রেলপথ। তো আমাদের গ্রাম থেকে পাশের গ্রামে যেতে ওই রেলপথের শুরুতে একটা ছোট কুম একটা বড় কুম পরতো৷ কুম হচ্ছে অনেকটা বাধ টাইপ। যেনো একপাশের পানি অন্যপাশে না যেতে পারে। তো সেটাকে বড় কুম আর ছোট কুম বলেই চিনতো সবাই।
যাইহোক, টুর্নামেন্ট শেষ হতে প্রায় ২:৩০ বেজে যায়। আমি এবং আমার এক বন্ধু দুজনে ওই রেলপথ ধরে রওনা করি। তো ওই গ্রাম থেকে আসতে প্রথমে বড় কুম পরে আর পরে ছোট কুম। তো আমার ফোনে চার্জ না থাকায় ওর ফোনের ফ্লাস দিয়ে দুজনে আসছিলাম আর হাতে দুজনেরই সিগারেট। তো বড় কুম পার হতেই কুমের রাস্তা দিয়ে, আমাদের সামনে দিয়ে এক নববধূ রাস্তা ক্রস করে রেলপথ ধরে সোজা হাটা ধরলো। ফ্লাসের ঝাপসা আলোতে শুধু দেখলাম তার লাল শাড়ি আর নুপুরের শব্দ। এতো রাতে এই পথে মানুষ চলাচল ও করে না সেখানে নতুন বউ অভাবনীয়। তো আমার বন্ধু বললো হয়তো নতুন বিয়ে হয়েছে,এখন রাতে পালিয়ে যাচ্ছে। তো রেলপথ যেহেতু সোজা, সে আমাদের আগে আর আমরা তার পিছে। পিছন থেকে অনেকবার ডাকা হলো কিন্তু সে কোনো উত্তর বা পিছু ফিরেও তাকায়নি। এমনকি সে হাটছে আর দৌড়েও তাকে ধরতে পারছি না। আমাদের মাঝে গ্যাপ থেকেই যাচ্ছে। এভাবে যেতে যেতে ছোট একটু জঙ্গল, তারপর সেই ছোট কুম আর কুমের দুই পাশে বিল। তো ছোট কুমের কাছে আসতেই সে কুমের পাশের পুকুরে নেমে গেলো। তখন দুজন থতমত খেয়ে গেলাম। শীতের মধ্যে এতো রাতে সে বুক অব্দি পানিতে নেমে গেলো সরাসরি। দুজনে একটু স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে, আমি আমার বন্ধুকে বললাম, তুই পাহারা দিলে দে, আমি চলে যাচ্ছি। এটা বলে যেই দুজনে রেলপথ ধরে আবার রওনা করবো, তখনি পিছন থেকে নাকে নাকে কন্ঠে বললো "কিরে গোলামের পুত, আয়, নিচে নাম। দেখি তোর বাপের ঘাড়ে কয়টা মাথা, সাথে বিশ্রী হাসি "
এটা শুনেই বুঝলাম এটা মানুষ না, সে পিচাশ জ্বীন।