জানালার ভুত
২০০৬ সাল। মাওনা তে মক্কা-মদিনা নামক একটা জায়গায় থাকতাম। এখন আর বাড়ির লোকেশন মনে নাই। তখন ৮/৯ বছর বয়স। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কারেন্ট যেতো, ১০ টায় আসতো। অলিখিত নিয়ম। সেদিনও সেরকমই একটা সাধারণ দিনের মতো কারেন্ট গেলো। আম্মা জালানা খুলে দিলেন। পূর্ণ চাদের আলো তখন বাইরে। কেরোসিনের কুপি বাত্তি জ্বালিয়ে পড়তে বসলাম। জানালা ঘরের পিছন দিকে।
জানালার পরে বিশাল বড় খোলা মাঠ। বাড়ির চারপাশে কমপক্ষে ৫০ টা তালগাছ। মাঠের চারপাশে আরো ৫০ টা হবে। একদম জানালার সাথে লাগোয়া একটা নিমগাছ। পড়তে পড়তে হঠাৎ পিঠে একটা স্পর্শ অনুভব করলাম। আম্মা ছোট বোনকে নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। মনের ভুল জেনেও পিছনে ফিরলাম, কেউ নাই।
কিছুক্ষণ পরে আবার স্পর্শ অনুভব করলাম। এবার আরো স্পষ্ট। পিছনে ঘুরে জানালার দিকে তাকালাম, একটা মুখাবয়ব দেখা গেলো। কিছুটা ভয় পেলাম।
তবে, ভাবলাম কেউ হয়তো দাঁড়িয়ে আছে, যেহেতু জানালার পিছনেই মাঠ। কিন্তু হঠাৎ করে হেসে উঠলো সেই মুখাবয়বটি। কোন শব্দ হলো না হাসিতে। কিন্তু একটা ঝলসানো মুখ স্পষ্ট দেখতে পেলাম। একটা হাত মূহুর্তের মধ্যে আমার দিকে বাড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলাম। সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার দিয়ে দৌড় দিলাম। সবাই আসলো, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না। হুজুর এসে বললেন, খারাপ জ্বীন। আজো সেই কথা মনে হলে, গায়ে কাটা দেয়।
