ভুতের গল্প ৩০ থাপ্পর দেয়া ভুত

আমি আবির। এখন যে experience শেয়ার করব তা আমার সাথে এবং আমাদের বাসার প্রতিটি ফ্যামেলি মেম্বারদের সাথে ঘটা। আমি তখন ক্লাশ এইটে পড়ি। সাল: ২০০৮ আমাদের এক মহিলা ভাড়াটিয়া মারা যায়। সবকিছু ভালভাবে হলো কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত কারনে তার জানাযা উল্টা পড়ানো হয়। মানে, যেদিকে পা থাকবে সেদিকে বসানো হয়েছিলো মাথা। পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারলে ভুলভাবেই কবর দেয়া হয়। কবরটি দেয়া হয় তার শ্বশুড় বাড়ি, খুলনার খালিশপুর নামক জায়গার কোথাও।আর এখানেই কাহিনী শুরু-- ঐদিন রাতেই তার স্বামী টয়লেটে যায় এবং সে মুহূর্তে ক্যারেন্ট চলে যায়। ১০-১৫ সেকেন্ডের ভেতর তার বউয়ের গলায় কেউ একজন বলে মোমটা নাও। সে ভয়ে সেন্সলেস হয়ে যায়। এইভাবে চলে কিছুদিন। কিন্তু এতে ভয় আরো বেড়ে যায়। হুজুর বলে আপনারা লাশটা তুলে গোসল করিয়ে আবার জানাযা পড়ান। তখন কেবল ৮দিন সে মারা গেছে। দুপুরে লাশ উঠানোর জন্য গেলে কবরের মাটি উঠানোর পর আমি এবং সবাই যা দেখলাম তা আর কোনদিন দেখতে চাই না। দেখলাম যে কবরে ঐ মহিলা হেলান দিয়ে বসে আছে। আর কাফনের কাপড়ের অনেকখানি কাপড় তার মুখের ভেতরে। এরপর তিন হুজুর মিলে কবরে নামলেন এবং দোয়া দরুদ পড়ে কাপড়টা টেনে বের করতে থাকলেন। একসময় কাপড়টা বের হয়ে আসলে মহিলার লাশটি শুয়ে পড়ে। তাকে আবার গোসল করানো হয় এবং জানাযা পড়ানো হয়। তারপর, কবর দেয়া হয়। তার কিছুদিন পর তার স্বামী আবার বিয়ে করেন। কিছুদিন পর লোকটি বাসায় রাতে একা ছিলেন। পরদিন সকালে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে পাওয়া যায় বাসা থেকে ১ কি.মি দূরে। তাকে জিঞ্জাসা করলে তিনি ব যে রাতে তার বউয়ের মত এক মহিলা তাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকে বিয়ে করার কথা বলে। লোকটা আবার বিয়ে করেছে। সেই কারনে থাপ্পর দেয়। সেই থাপ্পরের দাগটা স্পষ্ট দেখেছি আমরা। তার দুইদিন পর লোকটি মারা যায়। কিন্তু এখনও তাকে আমাদের বাসার আশেপাশে কাদতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় নিয়ে আপনাদের জন্য কষ্ট করে পোষ্টটা লিখেছি। যদি পড়ে ভালো লাগে তাহলে একটা লাইক দিয়েন। এবং কমেন্ট করে জানান যে কেমন লাগলো স্টোরিটা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org