ভুতের গল্প ১৯ ব্লাক ম্যাজিক

ঘটনাটা আমার এক দূর সম্পর্কের আত্বীয়ের কাছ থেকে শোনা। যাকে নিয়ে ঘটনা তার নাম আসাদ। ঘটনাটা এরকম :- " আসাদ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বরিশালের কোনো এক স্থানে সরকারী চাকরিজীবী ছিলেন। পাকিস্তানি মিলিটারিরা যখন বরিশাল আক্রমণ করে তখন উনি মুক্তিযুদ্ধ এ যোগ দেন। বরিশালের বাবুগঞ্জ নামক জায়গায় এক ক্যাম্পে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। ওই সময়ে এক রাতে তিনি প্রাকৃতিক কাজে ক্যাম্পের পাশের জঙ্গলে যান , অার ভূলবশত একটি পুরোনো কবরের উপরে বসে পড়েন । তখন তিনি তার পাশে কিছু শব্দ শুনতে পান। তখন চাদের আলো ছিল, ওই আলোতে তিনি দেখেন পুরোনো একটা গাছ থেকে একটা মহিলা ঊল্টা হয়ে নিচের দিকে হেটে নেমে আসছে। মহিলাটির চোখ বলতে কিছুই ছিল না! মহিলাটি দেখতে দেখতে তার খুব কাছে চলে আসে,তিনি কি করবেন কিছুই বুজতে পারছিলেন না। এমনকি দৌড় দেওয়ার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন তিনি দেখেন মহিলাটির মাথা ফাটা,আর ফাটা জায়গা থেকে রক্ত ঝরছে। কিছু রক্ত কাপড়ে লেগে আছে আর চুলগুলো এলোমেলো। মহিলাটি উনাকে ধরার জন্য হাত বাড়ালে তিনি দৌড় দেন। কিছু সময় পর তিনি পিছে তাকিয়ে দেখেন যে কয়েকটি অনেক বড় আকারের শুকর তার দিকে দৌড়ে আসছে । এটা দেখে তিনি আরো জোড়ে ভয়ে দৌড় দেন এবং একটা গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। ক্যাম্পে ফিরচে না দেখে তার সংগিরা তাকে খুঁজতে বের হয় এবং জংগল এর পাশে পায়। তার শরিরে কোন কাপড় ছিল না এবং বিভিন্ন স্থানে লাল দাগ দেখা যায়। তার অবস্থা বেশী ভাল ছিল না। তার কিছু দিন পর তাকে তার গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয় । তখন যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার গায়ের লাল দাগগুলো কিছুটা বড় হয়ে কাল হয়ে যায় সাথে প্রচুর ব্যাথাও শুরু হয়। বহু ডাক্তার দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি। শেষে এক কবিরাজের শরণাপন্ন হন। কবিরাজ তাকে বলেন তিনি যে জায়গায় বসেছিলেন সেটা ছিল একটা কবর। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন যে কবরের উপর বসেছিলেন ওটা একটা মহিলার কবর ছিল, জে মানুষের উপর কালাযাদু করত। গ্রামের সবাই মিলে একদিন ওই মহিলাকে লাঠিপেঠা করে এবং উনি মারা যান। সবাই মিলে ওনাকে জংগলে কবর দিয়ে রাখে। এর পর থেকে অনেকে রাতে জংগলে ওই মহিলাকে দেখতে পেত। যাদের ভাগ্য ভাল তারা বেচে ফিরেছে, আর যারা ওর খপ্পরে পড়েছে তাদের কেউ মারা যেত আর যারা বেচে ফিরত তাদের শরীরে লাল দাগ দেখা দিত যা কিছুদিন পর কালো হয়ে পচা শুরু করত আর অবশেষ এ মারা যেত। কিছুদিন পর উক্ত আসাদেরও শরিরেও পচা শুরু হয় এবং সে মারা যায়। এই ছিল ঘটনাটা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org