লুবনার নিজের চোখে দেখা ভুত
আমার নাম লুবনা, আমি একটা ঘটনা বলছি নিজের চোখে দেখা, আমি তখন ছোট ছিলাম ক্লাস 3 ,4 এ পড়ি এমন, আমার ফুফু বাসায় বেড়াতে গেছিলাম। তাদের বাড়ি ছিল সাতক্ষীরার নগরঘাটা গ্রামে। তাদের গ্রামের পরিবেশেটাই একটু অন্যরকম, কোনো কোনো জায়গা জুড়ে শুধুই বাঁশ বাগান, আবার কোনো জায়গায় শুধু আম, কাঁঠাল,লিচু বাগান এমন। আর ঐ বাগানের মধ্যে দিয়েই ছিল যাওয়া আসার পথ।
তো এবার আসি মূল কথায়, আমরা যেদিন বেড়াতে গেছিলাম ঐ দিন আমার একটা কাকুকে নিয়ে আমার ফুপা বাজারে গেছিল আমাদের জন্য বাজার করতে, ফুপা ঐ দিন আমাদের জন্য মাছ, মুরগি, দই, পিঁয়াজু এসব কিনে কাকুকে সাইকেল দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তখন প্রায় সন্ধ্যা, কাকু সাইকেল নিয়ে আসছে ঐ বাগানের মধ্যে দিয়ে, উনি যখন বাড়ির কাছে আসলো তখন আমার ফুপুর জা দেখলো কাকু সাইকেল নিয়ে পড়ে গেছে, আমরা সবাই যেয়ে দেখি কাকু কেমন ব্যবহার করছে, একবার হাসছে আবার কাঁদছে, আর শুধু বলছে সাইকেলে কে বসে আছে,সব খেয়ে ফেললো। আমার আম্মু তখন কাকুর গায়ে দোয়া পড়ে ফুঁ দিতে লাগল। তারপরও কাকু বলতে লাগলো সাইকেল বসে আছে। আমরা সত্যিই যেয়ে দেখলাম যে মাছ কিনে দিছিল তার মাথা নেই, পিঁয়াজু গুলো সব ব্যাগের ভেতর ছড়িয়ে আছে। পরদিন সকালে হুজুর ডেকে কাকুকে ভালো ভাবে ফুঁ দিয়ে নেওয়া হয়।
তারপর তার মুখ থেকে শুনলাম সে যখন আসছিল বাড়ির দিকে তার সাইকেলের পিছনে কে যেন বসছিল অনেক ভারী। আর সে নাকি বাজারের ব্যাগ এর ভিতর হাত দিয়ে খাচ্ছিল, কাকু নাকি বলছে কে কে ? কিন্তু কোন কথা বলিনি। এসব কাকুকে বাড়ির সামনে এসে নাকি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
দ্বিতীয় ঘটনা বলছি,
আমার আম্মু,নানু,নানী, দাদু দাদীদের মুখ থেকে শোনা কথা। আমি তখন অনেক ছোট, আমার আম্মু আমাকে নিয়ে তখন দাদু বাড়ি থাকতো, আমার দাদু বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলাতে। আর আমার নানু বাড়ি পাইকগাছায়, তো আমার নানু বাড়ি থেকে দাদু বাড়ি আসতে গেলে তখন দুইটা নদী পাড় হয়ে আসা লাগত, একটা বড়দল নদী, একটা মানিকখালী নদী। তো এবারে আসি আসল কথায়, আমার ছোট খালামণি একদিন আমার দাদু বাড়ি আসছিল তাল নিয়ে, মানিকখালী নদী পাড় হওয়ার সময় মাগরিব এর আযান দিয়েছিল। আর ঐ জায়গাটা তেমন ভালো ছিল না, আমার আন্টির সে বাড়ি এসেই কেমন করতে লাগলো , আমাদের বাড়ির সামনে ছিল খেজুর গাছ সে নিমিষেই খেজুর গাছে উঠে গেল, কাঁচা পাতা একটান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলল, আমার দাদুকে গলা টিপে ধরছিল ঘুমের মধ্যে, তারপর হুজুর ডেকে আনা হয়, পরে জানা যায় যে আন্টির ঘাড়ে তিনটা জীন ছিল, পরে ভালো করে দোয়া কালাম পড়ছ ঝার ফুঁ করা হয়, এবং জীনদের তাড়ানো হয় , মজার ব্যাপার হলো তারা যে গেছে তার প্রমাণ হিসাবে তারা যাওয়ার সময় কলস মুখে নিয়ে গেছিল।
আশা করছি আপনার পড়বেন আমার এই লেখা গুলো।
No comments :
Post a Comment