চাচাতো বোন কে কাফির জীন এ বস করেছে
সত্য ঘটনা অবলম্বনে, দয়া করে কেউ ফান হিসেবে নিয়েন না, সিরিয়াস ব্যাপার। আমরা পুরো পরিবার মিলে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম, চাচার বাড়িতে। প্রথম দিনটা ছিল আনন্দ আর আড্ডায় ভরা। তবে দ্বিতীয় দিন বিকেলেই ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা, যা আমাদের সবাইকে হতবাক করে দিল।
সেদিন বিকেলে আমরা বাইরে যাওয়ার জন্য সবাই সাজগোজ করছিলাম। কিন্তু মাগরিবের আজান পড়ায় সিদ্ধান্ত হলো আমরা আর বাইরে যাব না। তবে আমার এক চাচাতো বোন জেদ ধরল, ও যাবেই। ভাবির কাছে অনেক অনুরোধ করার পর আমরা বের হলাম। ওর সেদিনের সাজগোজ ছিল অসাধারণ—সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিল। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গল্প করছিলাম। গ্রামের কিছু মুরুব্বি মহিলা বলছিলেন, “এই বেলায় বের হলে জ্বীন ধরবে।” জবাবে ও মজা করে বলল, “আমি তো এটাই চাই! জ্বীন ধরলে সবাইকে জ্বালাবো।”
আমরা ধানের ক্ষেতের দিকে হাঁটলাম। ক্ষেতের পাশেই ছিল একটি মরা নদীর শাখা। সেখানে ও ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ছবি তুলতে শুরু করল। আমি রাগ করে বললাম, “এবার চলো বাসায়, না হলে আমি চলে যাচ্ছি!” এরপর সবাই মিলে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরে আমরা আড্ডা দিতে বসেছিলাম। রান্নাবান্না চলছিল, আর নাস্তা তৈরি হচ্ছিল। তখন হঠাৎ ওর অদ্ভুত আচরণ শুরু হলো। মাতলামির মতো কথা বলছিল, অস্বাভাবিক ইংরেজি বলছিল, আর হাসছিল। আমরা প্রথমে ভাবলাম, মজা করছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ও বলল, ওর শরীর ভারী হয়ে গেছে।
আমরা টক পানি খাওয়ালাম, মাথায় পানি ঢাললাম। কিছুটা শান্ত হলেও ওর চোখ লাল হয়ে আগুনের মতো জ্বলছিল। ও কান্না করে বলছিল, “আমি মরতে চাই না, আম্মা। আমাকে মাফ করে দিও।” এরপর হঠাৎ নিজের গলা দুই হাতে টিপে ধরল। আমরা ৫ জন মিলে অনেক কষ্টে ওর হাত সরালাম। এভাবে প্রায় ২০-৩০ বার ওর দাঁতের সঙ্গে দাঁত লেগে যাচ্ছিল।
ও বারবার বলছিল, “আমি এখানে থাকতে পারছি না। এই রুমে সাদা কাপড় পরা লম্বা পুরুষ মানুষ দেখছি।” আমরা ভয়ে অন্য রুমে নিয়ে গেলাম। কিন্তু একই ঘটনা সেখানে ঘটল। ওর হাত-পা বেঁকে যাচ্ছিল, শরীর শক্ত হয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, ওর শরীরে ১০ জন পুরুষের শক্তি জমা হয়েছে।
অবশেষে রাত ১১টার দিকে তাকে এক আলেমের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। যাওয়ার সময় কয়েকজন পুরুষ মিলে ওকে ধরে নিয়ে যেতে হয়েছিল, কারণ ওর ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। আলেম দেখে বললেন, ওর শরীরে এক কাফির জ্বীন ভর করেছে। জ্বীনটি বলল, “আমি ওকে ছাড়ব না। ওকে পছন্দ করি।” অনেক দোয়া এবং পড়া-লেখার পর জ্বীনটি শর্ত রাখল—একটি লাল মোরগ মসজিদে দিতে হব
___
পরদিন সকালে মোরগ দিয়ে শরীর মুছে মসজিদে দান করা হলো। কিন্তু জ্বীনটি মিথ্যা বলেছিল। রাতে আবার ওর শরীরের উপর ভর করল। ওর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়, কথাও বলতে পারছিল না। চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল, আর হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছিল। আলেম আবার জানালেন, এই জ্বীনটি ওর শরীরে স্থায়ী হতে চাইছে এবং ওকে পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে। প্রতিদিন নতুন নতুন উপায়ে জ্বীনটি তাকে কষ্ট দিচ্ছে।
কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। কেউ যদি এর সমাধান জানেন বা কোনো উপদেশ দিতে পারেন, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।
চিকিৎসা:
কানের কাছে ৭ বার আযান ছাড়ুন মোবাইল থেকে,, আর সুরা ছফফাত এর অডিও প্লে করে দিন যতক্ষন স্বাভাবিক না হয়। স্বাভাবিক হলে কোনো স্পেশালিস্ট রাকি দ্বারা চিকিৎসা করান।
#Approved_or_feedback