ভুতের গল্প ১৬ সত্য ঘটনা ভুত এফএম থেকে
নিজের একটি সত্য ঘটনা 30/12/2011
তে Bhoot FM ও Airtel Buzz এর পক্ষ
থেকে সিলেটের একটি Hunted
চা বাগানে যাওয়ার সুযোগ
মিলে .
30 তারিখ সকালে Radio Foorti এর
অফিসে যাবার পর ফারনান ভাই,
ফুয়াদ ভাই ও দেবাশিস ভায়ের
সাথে পরিচয় হয়.
আমার মত তারাও Lucky Winner.
সকাল 9:30 এ রওনা হয়ার
কথা থাকলেও দেরি হয়ে যায় Driver
accident এর কারনে .
নতুন Driver ঠিক করে Radio Foorti এর
বরাত ভাই আমদের
নিয়ে চলে সিলেটের উদ্দেশে .
খুব আনন্দে থাকলেও তখন
বুঝিনি সামনে বিপদ.
ভুতুরে গল্প করতে করতে সিলেট
বিশ্বরোড পৌছাতে সন্ধা .
একটু দূর না যেতে যেতেই মাইক্রোর
টায়ার পামচার .
খুব স্বাভাবিক .
কিন্তু
পরে বুঝতে পারি হয়তো বা এখান
থেকেই আমাদের আসল যাত্রা শুরু.
প্রায় এক ঘন্টা লাগে একটা টায়ার
Repair করতে যা সাধারনত এত সময়
লাগে না .
যাই হোক , আমাদের যাত্রা আবার
আবার শুরু .
সিলেট থেকে দুইজন winner pick
করে রাত 10টায়
হোটেলে পৌছাই .
ডিনার শেষ করে hunted tea state এর
উদ্দেশে আবার রওন্ব দেই.
হোটেল থেকে 15 মিনিটের
রাস্তা .
যথেষ্ট গ্যাস থাকা স্বত্বেও গ্যাস
শেষ .
গ্যাস নিয়ে চা বাগানে পৌছাই
রাত 12 টার মাত্র 10 মিনিট আগে .
পুরো সুনসান এলাকা .
চা বাগানে গার্ড পর্যন্ত নেই.
থমথমে এক পরিস্থিতি.
চা বাগানের শেষ
প্রান্তে জংগল .
এই সেই চা বাগান যেখানে জুজু
নামক বাচ্চা
খেকোর কথা সুনতে পাওয়া যায়.
আছে একটি কবরস্থান
যেখানে চা বাগানের শ্রমিকদের
কবর দেয়া হয়.
এই বনে নাকি মাথা কাটা যুবতীর
লাশ পাওয়া যায়.
আমাদের কাজ শুরু.
ইতিমধ্যে আমরা দুইবার OnAir এ
গেছি.
Russel ভাইয়ের কথা মত আমরা দুইজন
করে চারটা দলে আট জন ভাগ
হয়ে যাই.
আমার জিবনের অন্যতম অধ্যায় শুরু
হতে যাচ্ছে .
আমি আর ফারনান ভাই
চা বাগানের ভিতর
দিয়ে হাটটেছি.
খুব একটা শীত ছিল না .
15-17 ডিগ্রী সেলসিয়াস .
কিন্তু চা বাগানের
ভিতরে কুয়াশা .
তখন আর মনে হয়নি যে শীত ত এত
না যে কুয়াশা থাকবে.
হঠাত্ আমি কিছু অনুভব করতে থাকি .
আমার পিছনে হয়তো কিছু আছে . ভয়
লাগছে আমার. আমি সবার ছোট .
মনে মনে ভাবলাম এরকম জায়গায় ভয়
লাগাটাই তো স্বাভাবিক.
কিন্তু আর পারছিনা . এবার
পিছনে তাকালাম সাহস করে .
দেখি কিছুই নিই. কিন্তু একটু
দুরে দেখতে পাই কুয়াশার মধ্য
দিয়ে মানুষ
হেটে গেলে যেভাবে কুয়াশা ফাকা হয়ে যায়
ঠিক তেমনি ফাকা হয়ে
গেছে . কিন্তু দূর
থেকে দূরে কাউকে দেখতে পেলাম
না . ঠিক এমন সময় ফারনান ভাই এর
মোবইলে ফুয়াদ ভাই এর ফোন আসে .
দেবাশিস ভাই কবরস্থানে অনেক
গুলো কালো ও সমান সাইজের কুকুর
দেখতে পায় . কুকুর
গুলো নাকি অস্বাভাবিক দেখতে.
নিথর
হয়ে দারিয়ে তাকিয়ে ছিল.
আমরা সবাই একত্রিত হয়ে গেলাম
কবরস্থানে কিন্তু কোনো কুকুর
দেখতে পেলাম না . হঠাত্ করেই
উধাও.
এমন সময় বন্য শেয়ালের
গনবিদারী আওয়াজে safe জায়গায়
যেতে বাধ্য হলাম.
আধ্যাতিক কিছু না হোক এই বন্য
শেয়ালের হিংস্র থাবায়
পরতে চাই না .
চা বাগানের শুরু
তে একটা বাংলো টাইপের
পুরানো বারির
সামনে গিয়ে থামলাম.
10 মিনিটের মধ্যে এত কিছু
হয়ে গেল.
আমরা ফোনের মাধ্যমে listener দের
সাথে share করলাম.
তারপর কিছু ছবি তুললাম .
রাত 2 টা 30 এ
হোটেলে ফিরে এলাম.
ঘুমিয়ে পরের দিন ঢাকার
উদ্দেশে রওনা দিলাম.
মাইক্রো তে সবাই
ছবি গুলো দেখতে লাগলাম .
আশ্চার্য হলাম,
কয়েকটা ছবি দেখে .
একটা ছবিতে বাংলোর
সামনে একটা কালো ছায়ার
ছবি আসে.
কিন্তু সেখানে আমাদের কেউ
ছিলনা.
আর চা বাগানে তো গার্ড ও নাই .
তবে ছবিটি কার? ? ?
ছবি গুলো আমার fb ID তে আছে. মন
চাইলে দেখতে পারেন.
পরে জানতে পারি চা বাগানে একটি মন্দির
আছে. যেখানে প্রতি বছর 13 বয়সের
কুমারী মেয়ের
গলা কেটে বলিদান করে .
বুঝতেই পারছেন জায়গাটা কেমন
হবে .
ঢাকা আসার সময় আমাদের অনেক
problem হয় .
তা share করতে চাচ্ছি না.