ভুতের গল্প ১২ শিমুল গাছের ভুত
শিমুল গাছটায়
বেয়ে বেয়ে উঠছে...
আম্মুর কাছ থেকে শোনা আরও
একটি গল্প । আমি আবার আম্মুর
হয়ে বলছি ।
আমাদের বাড়ির বর্ণনা আগেই
দিয়েছি । বাড়ির পাশে যে জঙ্গল ছিল
তার থেকে একটু দুরে একটি ধান ক্ষেতের
মাঝে ছিল ২ টি বড় শিমুল গাছ । এর
আশে পাশে কোন বাড়ি ছিলনা, শিমুল
গাছ ছাড়া আর কোন গাছও ছিলনা ।
এবারের গল্প সেই গাছ কে ঘিরে ।
আমার বয়স তখন ১১ কি ১২ হবে । সে সময়
আমাদের গম চাষ করা হত । যখন গম
ক্ষেতে বুনা (ছিটানো) হত তখন
চারা গজানোর আগ পর্যন্ত
পাহারা দিতে হত । কারন,
পাহারা না দিলে সব গম গুলো সকাল
বেলার পাখিরা খেয়ে ফেলত ।
যে প্রতিদিন পাহারা দিত সে কোন
একটা কারনে বাড়ীতে ছিলনা ।
ফলে আমাকে বলা হল ক্ষেত
পাহারে দিতে । আমি সকাল সকাল
চলে গেলাম গম ক্ষেত পাহারে দিতে ।
আমি ক্ষেতের এক কোনায় বসে আছি ।
এমন সময় দেখি সাদা কাপড়
পরা একটি মহিলা মস্ত বড় গাছটায়
বেয়ে বেয়ে উঠছে । আমি ভয়
পেয়ে গেলাম যখন দেখলাম তার চুল
গাছের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত লম্বা আর
সে কাঁটাওয়ালা শিমুল গাছটায়
বেয়ে বেয়ে উঠছে । কেননা এত বড় চুল
কোন মানুষের
হতে পারেনা এবং কাঁটাওয়ালা গাছে
মানুষের পক্ষে অনায়াসে উঠা সম্ভব
না । আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম । যখন
জ্ঞান ফিরল তখন দেখলাম আমার
পাশে অনেক মানুষ । সবাই প্রশ্ন
করছে কি হয়েছিল । তারপর
আমি সবাইকে বিষয় টা বললাম ।
শিমুল গাছ গুলো এখনও আছে কিন্তু আর
কোন সমস্যা হয়নি ।