কা*লো মহিলা (বাস্তব ঘটনা)

২৩/০৭/২০২৫ রাত তখন ঠিক ১.২৬ মিনিট (একদম মনে আছে সময়টা)। বাইরে থেকে একটু হেটে (প্রতিদিনের অভ্যাস) বাড়িতে এসে হাত মুখ ধু*য়ে ফ্রেশ হলাম। রাতের খাবার খেয়ে তারপর একটু উঠানে বের হলাম যে কারেন্ট নেই যখন একটু থাকি এই গরমে ঘুমাবো কিভাবে। একটু ওয়েট করে দেখি আসে কি না। ঠিক তখন-ই আমার এক ভাতিজার কল আসলো। এত রাতে তার নাম্বার দেখে একটু অবাকই হলাম। যদিওবা সে মাঝে মাঝে কল করে বিশেষ করে মাছ শি*কার করতে গেলে। স্বাভাবিক ভাবে কল রিসিভ করলাম। রিসিভ করার পর তার সাথের আলাপ টা ঠিক হুবহু এমন.... 

সে: কাকু, কই তুমি? 

আমি: এতরাতে মানুষ কই থাকে গা*ধা। বাড়িতেই আছি, কেন দরকার কিছু?

সে:কাকু একটু আসতে পারবে (জায়গার নাম বললো)

আমি: কেন রে,?

সে:আসো- ই না একটু তাড়াতাড়ি। 

আমি: আসা তো বড় কথা নয়, কি হইছে বলবি তো একটু? 

সে: আমি বাড়িতে যেতে পারতাছিনা। 

আমি:  (কথাটি শুনে আমার কাছে কিরকম যেন লাগলো)  পারতাছিনা মানে? ত*কে কে আটকাইয়া রাখছে, এত বড় সাহ*স আর তু*ই কি এমন করছিস? আবার কারো সাথে ঝ*গড়া করছিস বা কেউকে গা*লা*গা*লি করছিস? (মাঝে মাঝে তার নামে এমন ছোটখাটো না*লিশ আসে)

সে: কিছু করিনাই তো কাকু। লাস্ট ১৫/২০ মিনিট হলো আমি ঘুরেফিরে একই জায়গায় এসে যাচ্ছি। বের হই বাড়ির দিকে কিন্তু একটু পর দেখি যেখানে গাড়ি রাখছি ( সে গাড়ি চালায় আর গ্রামেরই একজনের বাড়িতে গাড়ি রেখে আসে মানে অনেকটা বলতে পারেন গ্যারেজ এর মত ভাড়া)

ঘুরেফিরে আবার গাড়ি রাখার বাড়ির সামনে মানে রাস্তায় চলে আসছি। 

আমি: কি বলিস গা*ধা, কিছু খা*ইছিস নাকি আবার? আজকাল কি এইগুলাও খাইতে শুরু করলি?

সে: (কিছুটা কা*ন্না কা*ন্না কন্ঠে) না কাকু, বিশ্বাস করো আমি এসব কিছু খাইনাই। সত্যি বিশ্বাস করো আমি ওইখান থেকে বের হই,আমার গ্রামের আর বাড়ির রাস্তা কি আমি চিনিনা বলো?  কিন্তু একটু পরে দেখি আবার সেই বাড়ির সামনেই এসে পড়তেছি। 

আমি: তু*ই ওইখানেই দা*ড়া। অপেক্ষায় থাক আর আমি আসতাছি। 

এইবলে আমি উঠান থেকেই তার দিকে রওনা হই। বেশি দূরে না জায়গা টা। আমি যেদিকে হাটি সেদিকেই রাস্তা। আর ওইদিন সে যখন গাড়ি নিয়ে রাখতে যাচ্ছিলো তখন আমি বাড়ির দিকেই হেটে আসছিলাম। মানে বলতে পারেন ১০/১৫  মিনিট আগের কথা। সে আমাকে রাস্তায় পেয়ে গাড়ির ভিতর থেকেই ইশারায় কথা বলেছিলো। তার কথা শুনে আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে তার সাথে কি হতে চলেছে বা কে করতেছে এমন। ওই রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রাস্তা থেকে একটু দূরেই একটি বাগান আর ছোট পুকুর আছে। যা বলতে পারেন পরিত্যক্ত এমনই। আর জায়গা টা খুব ভালো না সবার ভাষ্যমতে। ছোটো বেলা থেকেই শুনে এসেছি এখানে খা*রাপ কিছু থাকে। এবংকি একবার ওই পুকুরে একটা বাচ্চা ছেলে কে পানিতে অ*র্ধ ভা*সমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো। তার পা ছিলো পানির উপরের দিকে কিছুটা ভাসমান আর মাথার অংশটুকু ছিলো পানির নিচের দিকে কাদায় ভিতরে। পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃ*ত বলা হয়। আরেকবার পাশের বাড়ির একজন মহিলা রাতে বাথরুম করতে বের হলে উনার পরিবারের-ই একজনের কন্ঠে উনাকে ডেকে নিয়ে আসে। উনি ভাবছিলেন যে পরিবারের ওই মানুষ টি ই হবে ভেবে উনি তার ডাকে এগিয়ে যান। পুকুরের কাছে চলে আসলে উনি দেখেন যে মহিলাটি পুকুরে নেমে যাচ্ছে আর উনাকেও বলতেছে নামতে টিক তখনই উনার স্বামী বের হয়ে ডাক দিলে উনার হুশ ফিরে আর দেখেন যে উনি এখানে চলে আসছেন। তখন উনি বুঝে ফেলেন যে মহিলাটি স্বাধারন কিছু নয়। উনি সেখান থেকেই পালিয়ে যান। আরেকজন ব্যক্তি পানির (বন্যার সময় গত বছর)  সময় মাছ শি*কার করতে করতে সেই পুকুরের কাছেই চলে আসেন৷ হঠাৎ খেয়াল করেন যে বড় একটি মাছ কাছেই খেলা করতেছে। উনি লাইটের আলো তে বুঝলেন মাছটি গজার মাছ হবে। লা*ল টু*পটু*প কালার দেখেছেন। উনি দেখে আর লো*ভ সামলাতে পারলেন না যে এত বড় গজার মাছ লাস্ট কবে যে দেখেছেন আর ধরেছেন মনে নাই। কিন্তু মাছটি ধ*রা দিচ্ছিলো না। যখনই উনি ব*র্শা দিয়ে মা*রবেন তখনই মাছটি হাওয়া বা নাই হয়ে যাচ্ছে। আবার দেখেন মাছটি আরেকটু সামনে চলে গিয়েছে। উনিও নাছো*ড়বান্দা হয়ে গেলেন যে মাছটি আমার ধ*রতেই হবে। উনি পাক্কা একজন মাছ শি*কারি। এইভেবে একটু একটু করে মাছটি ধ*রার জন্য সামনে যাচ্ছিলেন আর মিস করতেছেন। উনার খেয়ালই নাই যে উনি কিভাবে সেই বাগানের কাছে গিয়ে পুকুরের কাছে চলে আসছেন। হঠাৎ করে খেয়াল করলেন মাছটি পুকুরের ঠিক মধ্যে ভে*সে আছে,নড়াচড়া করতেছেনা। মনে হচ্ছে সে ইচ্ছে করেই ভেসে আছে যাতে করে তাকে ধ*রা যায়। উনি এটা দেখেই বুঝে ফেলেন যে এটা স্বাভাবিক কোনো মাছ না। উনি লাইট দিয়ে চারদিকে খেয়াল করে দেখেন যে উনি সেই পুকুরের মাঝে ই আছেন। উনার আর বুজতে বাকি নাই যে উনি কার খ*প্পরে পরেছেন কেননা উনার বয়স ৫০+ এর মতো আর এই গ্রামেরই মানুষ সেই হিসেবে এই জায়গা সম্পর্কে ধারনা আছে। হাতে থাকা ব*র্শা সাথে সাথেই ফেলে দিয়ে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসেন। এইরকম অনেক এমন ঘটনা হয়েছে বা ঘটেছে। আমি কখনো পাইনাই তবে হাটার সময় মাঝে মাঝে কেমন জানি মনেহয় যে,  বাগানে কিছু আছে বা হাটতাছে,গাছে অনেক জোরে জোরে ঝাকি দিচ্ছে এবং পুকুরে অনেক বড় বা ভারী কিছু লাফ দিয়ে পড়তেছে এমন ভাবে শব্দ হয়। মূল ঘটনায় ফিরে আসি আবার, কিছু মনে করবেন না অন্যদিকে চলে যাওয়ায়। আসলে এই ঘটনাগুলো বললে হয়তো কিছুটা আইডিয়া পাবেন কি আছে বা কি সেইটা। বিশ্বাস করা বা না করা আপনাদের মনের উপর। 

তাকে সেখানে তাকতে বলে আমি হেটে হেটে তার কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি সে ওই বাড়ির সামনেই গেইটের কাছে বসে আছে। আমাকে দেখে উটে এসেই বলে " কাকু, বিশ্বাস করো আমি এমন কিছু খাইনাই যে এমন হবে। আমি যতবারই বের হইছি ততবারই ঘুরেফিরে এখানেই এসে পড়তেছি। আমি তাকে শান্ত করে বললাম যে " আচ্ছা যা চিন্তা করিস না,বিশ্বাস করলাম যে তু*ই এসব খাসনাই। এখন চল বাড়িতে যাবো অনেক রাত হইছে। সে কেন জানি একটু ভয়ে ভয়ে বললো যে " কাকু, এই পথে আবার যাবো? যদি কিছু হয় বা ক্ষ*তি করে?। আমি তাকে হেসে হেসে বললাম অন্য কোনো রাস্তাও তো আর নাই। আর ধুর এসব কিছুই না,গাড়ি চালিয়ে তু*ই ক্লান্ত হয়ে গেছিস আর ঘুমাসও নাই মনেহয় রাতে ঠিকমতো। চলতো এখন আর এসব ভাবিস না। এইবলে তাকে নিয়ে বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে যাবার পর দেখি অলরেডি তার মা বাবা আর বোন উঠানে দাঁড়িয়ে আছেন যে তার আসতে দেরি হচ্ছে কেন। (সে কল দিয়ে বলেছিল যে সে গাড়ি রেখেই চলে আসবে,তার জন্য যেন ফ্রি*জের ঠান্ডা পানি রাখা হয় আর সাবান শ্যাম্পু বাইরে রাখা হয়। অনেক ক্লান্ত সে আর আজ জার্নিও অনেক হয়েছে এমন টা বলেছিল। কিন্তু ৭/৮ মিনিট এর জায়গায় এতো সময় হয়ে যাচ্ছে দেখে উনারা টেন*শন করছিলেন। কল দিচ্ছিলেন কিন্তু ধরতেছে না (তখন সে রাস্তায় ছিলো আর এমন এক অবস্থায় ছিলো যে কল ধরবে সেই চিন্তা বা ধারনায় ছিলো না)। সে উঠানে গিয়েই সিড়িতে বসে পরলো। তার পুরো শরীর ঘামে একদম ভিজে গেছে। মুখ অনেকটা ফে*খাসে হয়ে গিয়েছিলো। তাকে দেখে তার বাবা জিজ্ঞেস করলেও সে হাতের ইশারায় বললো তাকে পানি খাবাতে। সে পানি খেয়ে একটু বসার পর তাকে বললাম " কি হয়েছে এখন একটু খুলে বলতো? তার ভাষ্যমতে এমন " তোমাকে তো রাস্তায় পেলাম আমি, তারপর তো আমি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়িতে রেখে একটু গাড়ির সবকিছু চেক করে লক করে সেখান থেকে বের হই। রাস্তায় এসে ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে গান শুনে শুনে ফোন টি*পতে টি*পতে বাড়ির দিকেই রওনা দেই। কিন্তু একটু পর দেখি আমি তাদের বাড়ির সামনেই। তখন ভাবলাম যে হয়তো ফোন টি*পতে ম*গ্ন থাকায় ভুল করে আবার চলে আসছি। তো আমি আবার বের হই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু আবার দেখি আমি তাদের বাড়ির রাস্তার সামনে। আবারও ভাবলাম শরীর বেশি ক্লান্ত হয়তো তাই ভুলবশত এমন হয়েছে। আমি আবার বের হই,কিন্তু বিশ্বাস করো কাকু তিন রাস্তার যে পয়েন্ট (সেই পুকুর বা বাগানে যাবার রাস্তা) সেখান অবধি যাই টিকই কিন্তু একটু পর দেখি আবার আমি তাদের বাড়ির সামনে চলে আসছি হেটে হেটে। এইভাবে আরো প্রায় ৩/৪ বার করার পরও দেখি এখই অবস্থা। বার-বার তাদের বাড়ির সামনেই চলে আসছি। আমার মনে হচ্ছিলো আমি পরে যাবে মাটিতে বা এমন ভাবে শরীর ক্লান্ত আর অস*হ্য লাগতেছিলো হাটতে হাটতে। প্রায় ২০/২৫ মিনিট একইভাবে আমাকে বার বার একই জায়গায় ফিরে আসছিলাম। তখন হঠাৎ করে তোমার কথা মনে হলো যে তোমাকে তো একটু আগেই দেখেছিলাম আর তুমি তো হাটতে বের হও বা তোমাকে পাওয়া যায় এই ভেবে তোমাকে কল দিছি যে তুমি হয়তো রাস্তায়ই থাকবে বা হাটায়। এইটুকু বলে সে আরো এক গ্লাস পানি খেয়ে বসে রইলো। আমার তো বুঝা হয়ে গিয়েছে কার খ*প্পরে পরেছিলো সে। আমি আর তাকে ভ*য় না দেখিয়ে বললাম যে " আরে দূর গা*ধা এসব কিছু না, ত*র মনের ভুল এইগুলা। গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিস তাই এমন হইছে। যা এখন স্নান করে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়িস। সকালে উটে দেখবি এসব কিছুইনা গা*ধা। এইবলে তাকে উটিয়ে দিলাম আর রুমে যাবার জন্য বললাম। তার বাবাকে বললাম যে আপাতত কিছু খেয়ে ঘুমায় যেন সে আর রাতে তার পাশে তুমি ঘুমাইও দাদা। ভ*য় পেয়েছে হয়তো তাই একা ঘুমানো ঠিক না আর তুমি তো জানো সেই জায়গার কথা ভালো করেই। তাকে এসব কিছু বলো না আর কিছু বললে সোজা ঘুমাতে বলবে। কাল একবার বড় মসজিদ এর হুজুর কে এনে ফু দিয়ে দিও। এইবলে আমি বের হবো তখন দাদা বললেন " তু*ই একা আবার যাবি কিভাবে ভাই? ত*র সাথে যদি কিছু করে বা প্রব*লেম হয় তাইলে তো খা*রাপ দেখাবে রে ভাই। আমি উনাকে বললাম " আমার কিছু হবেনা চিন্তা করো না, তোমার কষ্ট করে আসতে হবে না। আর কিছু হলে ভগবান দেখবেন। এর থেকে বেশি আর কি করার। তাও উনি বললেন যে আমি একটু এগিয়ে দিয়ে আসি ভাই ত*কে? 

আমি উনাকে বললাম " আরে দরকার নাই এসবের, সে কিছু করবে না আমাকে আর করলে দেখা যাবে নে কি করা যায়। আমাকে বাড়িতে যেতে দিবেনা এতটা সাহস সে করবে না। সে ভালো করেই জানে আমি তার কোনো ক্ষ*তি করিনাই বা ডিস্টার্ব করিনাই। তার সাহস থাকলে কবেই করতো এসব আমার সাথে। আমিও তো একটু আগে ওইখানেই ছিলাম আর হেটে এসেছি। এসব চিন্তা করো না দাদা,তুমি তাকে একটু দেখো সুধু। এইবলে আমি চলে আসি। আসার সময় কোনো সমস্যাই হয়নাই। নরমালি আমি হেটে এসেছি বাড়িতে। পরের দিন হুজুর কে এনে তাকে দেখানোর পর উনি বললেন" আসলে তেমন কিছু না চিন্তার আপাতত। যা বিপদ ছিলো তা গতকাল রাতেই কে*ঠে গিয়েছে বা শেষ হয়েছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে সব। অনেক রাত ছিলো তো আর একা থাকায় সে ভ*য় দেখাতে চেয়েছিলো। চেস্টা করেছে তাকে পথ ভুলিয়ে অন্যদিকে নিয়ে আসার কিন্তু সে ওইখানে গিয়ে আবার আসে নাই বলেই বড় কিছু হয়নাই। তখন সেই ভাতিজা বললো " হুজুর এর আগেও তো আমি অনেকবার এসেছি এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি রেখে,এবংকি রাতের বেলা কতবার যে একা একা মাছ শিকার করেছি হিসেব নেই কিন্তু গতকাল এমন হলো কেন সেটাই বুজতাছিনা। হুজুর বললেন" গতকাল রাতের টা তোমার নসিবে লেখা ছিলো এমন টা হবে তাই হয়েছে। বড় কিছু হয়নাই এটাই ভাবো আর কিছু চিন্তা করার দরকার নাই। তখন সে আবার বললো" তাইলে কাকু( আমার কথা) যে পরে একা একা গেলেন উনার সাথে কিছু হয়নাই কেন বা করে নাই কেন? 

হুজুর হেসে হেসে বললেন " ত*র কাকু নিজেই একটা ভুত,এক ভুতে কি আরেক ভুতের সাথে লাগতে যাবে পা*গল। আর ত*র কাকু প্রতি রাতেই ওইদিকে যায় কিন্তু তার সাথে এরকম কিছু করেনা আর আশা করি করবেও না। ত*র কাকু কে তো কতবার বা*রন করেছি যে একা একা রাতে হাটতে বের না হতে কিন্তু ছেলেটা কথাই শুনেনা (উনি আমার এইসব সম্পর্কে সবই জানেন,এবংকি আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোও। উনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমার বাড়িতে কি আছে বা কে আছেন সেটা জানেন)। এইবলে হুজুর সেখান থেকে উটে বের হলেন। আমিও সেখানে বসা ছিলাম,আমাকে সাথে করে উঠে পরলেন মসজিদের দিকে। আমাকে বললেন " আয় রে ভুত এর ভাই,এখানে থাকলে পরে ত*র ইতিহাস বলে শেষ করা যাবেনা। এই বলে বাইরে বের হলাম হাসতে হাসতে, তখন আবার বললেন ত*কে যে  কতবার বললাম একা বেশি বের হইস না কিন্তু কথা তো শুনিস না আমার। মাঝে মাঝে শুনিস আমার কথা ভালো হবে ত*র। আমিও উনাকে বললাম যে " জ্বী আচ্ছা হুজুর"। উনি হেসে হেসে বললেন " জ্বী আচ্ছা তো বলিস ঠিকই কিন্তু ত*র যা স্বভাব এতে বিশ্বাস হয়না ত*কে শয়*তান। আমি উনাকে বললাম যে " আচ্ছা হুজুর আসার সময় তো আমি একা ছিলাম,তাইলে আমার সাথে তো এরকম করে নাই কেন?  উনি আমাকে বললেন" তু*ই কি খুশি না যে ত*র সাথে কিছু করে নাই? আর ত*র সাথে করে কি হবে, ত*র যে মা যদি দেখেন যে বাড়িতে গিয়ে এমন উল্টাপাল্টা কিছু করছিস বা বলতেছিস তাইলে আমাকে ডেকে আনতে হবেনা। ঘরের ঝা*ড়ু,লা*টি,জুতা যা সামনে আসবে বা পাবেন তা দিয়েই ত*কে ফু মে*রে দিবেন। এইবলে উনি হাসলেন। আরো একটু কথা বলে আমি বিদায় নিলাম আর উনিও মসজিদের দিকে চলে গেলেন। যাবার সময় বলে গেলেন " মায়ের কথা মনে রাখিস আর উনার কথাও চিন্তা করিস একটু। বিশেষ করে উনার মাই*রের কথা, একটাও মা*ইর কিন্তু মাটিতে পরবে না বলে দিলাম। একবার তো কোনভাবে বেচে গেছিস আমার দ্বারা  কিন্তু আরেকদিন কিন্তু আর ত*র মায়ের হাত থেকে কেউ বাচাতে আসবে না এবংকি আমিও না। এইবলে উনি চলে গেলেন আর আমিও বাড়িতে চলে আসলাম। 

কার কাছে কি রকম বা কেমন লেগেছে জানিনা তবে ঘটনাটি একদম বাস্তব আর সত্যিই ঘটেছে। সেই পুকুর বা বাগানের সেই মহিলাকে অনেকে দেখেছে রাতের বেলা। অনেকেই তার খ*প্পরে পরে পথ হারিয়েছে এবং কেউ কেউ তো একটুর জন্য বেচে গিয়েছে। 

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শারীরিক অসুস্থতার +কাজের প্রেশার এর  জন্য রেগুলার পোস্ট দিতে পারতেছিনা। তবে যখনই আসবো তখনই বাস্তব কিছু নিয়েই আসবো। প্রার্থনা করবেন যেন আপনাদের মাঝে আরো কিছুদিন বেচে থাকতে পারি।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org