মিরপুরে ভৌতিক ঘটনা

আমার নাম প্রিন্স।মিরপুরে
থাকি। আমি
এই প্রথম
কোন ঘটনা লিখে পাঠাচ্ছি।আমার ভূতের
কাহিনি
ভাল লাগে।তাই আমিও একটা পাঠালাম।
আশা করি
ভাল লাগবে।তাই ঘটনাটা অনুগ্রহ পূর্বক
পোস্ট
করবেন।
আমাদের গ্রামেরই অনেক দিন আগের
একটা ঘটনা।
প্রায় ১৮/২০ বছর। গ্রামে অনেক বেশি
জিন
সম্পর্কিত ঘটনা শোনা যায়।আমিও এটা
শুনেছি আমার
বড় ফুফুর কাছ থেকে।এবার ঘটনাটা বলি।
আমাদের বাড়ি থেকে ৬/৭ বাড়ি পরেই
ছিল আমাদের
পরিচিত আব্দুল লতিফ সাহেবের বাড়ি।
তখন উনি
জোয়ান ছেলে।উনি প্রায়ই অনেক রাত
করে বাড়ি
ফিরতেন। তো এমন একদিন উনি রাতে
(প্রায় ১২টা)
বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে
তো একেক
দিন একেক জায়গায় হাট বসে। ঐদিনের
হাট টা
কিছুটা দূরে ছিল। আর সেদিন প্রায় শেষ
পর্যন্ত
হাটে ছিলেন,তারপর আবার বন্ধুদের সাথে
আড্ডা
দিয়ে একা ফিরছিলেন।দেরী হওয়ায়
ভাবলেন,শর্টকাট রাস্তা দিয়ে যাবেন।
সে পথে
একটা বড় বাঁশঝাড় পড়ে।রাতের বেলা
ওখানে অদ্ভুত
অনেক কিছু হয় বলে সাধারণত কেউ ও পথে
যেতনা।
উনিও তা জান্তেন,তাও ঐদিন
যাচ্ছিলেন। সেদিন
কিছুটা পূর্নিমা ছিল।তো উনি যখন
বাঁশঝাড়ে প্রবেশ
করেন,হঠাৎ ঝাড়ের দক্ষিণ দিক থেকে
একটা ঠাণ্ডা
হাওয়া এসে গায়ে লাগে।তখন আবার
শীতকাল ছিল।
তাও উনার কাছে কেন জানি কিসের
একটা খটকা
লাগে।কি মনে করে চারিদিকে একবার
তাকান,আশেপাশে কেউ ছিলনা।উনি
হাঁটতে থাকেন।
কয়েক মিনিট পর হঠাৎ তার বাম পাশের
ঝাড়ের একটু
ভেতরের দিকে কয়েকটা বাঁশ খুব জোরে
২,৩টা
ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়।উনি একটু চমকে
যান।কিন্তু
না থেমে হাঁটতে থাকেন।একটু পর আবার
তার পাশে
ঝাঁকুনি।এবার একটু বেশিই।তো উনি সাহস
করে
জিজ্ঞেস করেন,কে? কোন উত্তর নেই।
এবার একটু ভয়
পেয়েই হাঁটতে থাকেন,তখনি সামনে একটু
দূরে একজন
সাদা দাড়ি,হাতে তাজবিহ,সাদা টুপি
জোব্বা পরা
একজন লোক উনার দিকে আসতে থাকেন।
কিন্তু একজন
মানুষ হেঁটে আসলে তার গায়ে যেমন
একটা অসম
উঠানামা বা নড়াচড়া বোঝা
জায়,উনাকে দেখে তা
বোঝা যাচ্ছিলনা।মনে হচ্ছিল,সমানভাবে
ভেসে
আসছেন।পা কি মাটিতে ছিল কিনা তাও
বোঝা
যাচ্ছিলনা।কাছে আসতে
দেখলেন,আসলেই ভাসমান!
এমনটা দেখেই উনি ভয়ে ওখানেই থমকে
দাঁড়িয়ে
যান।লোকটি কাছে এসে বললেন,“তুই এ
পথে আর
কোনদিন যাবি না।এখানে অনেক খারাপ
জিন থাকে।
এরপর আর কোনদিন গেলে তোর অনেক
ক্ষতি হয়ে যেতে
পারে।” উনি তো ভয়েই কাঁপছিলেন।
লোকটি
বলল,“যা,সোজা বাড়ির দিকে হাঁটতে
থাকবি।
সাবধান!পেছনে তাকাবিনা।” বলেই উনি
আবার
আগের মত ভাসতে ভাসতে চলে গেলেন।
একটু সামনে
গিয়েই মনে হল অদৃশ্য হয়ে গেলেন!আর
দেখা গেলনা।
উনি তাও ভয়ে কিছুক্ষণ অভাবেই দাঁড়িয়ে
ছিলেন,হঠাৎ হুশ হতেই উনি খুব তাড়াতাড়ি
হাঁটতে
লাগলেন।ঝাড়ের প্রায় শেষের দিকে
আসতেই উনার
চাদরে পেছন থেকে টান লাগলো আর মনে
হল অনেক
দূর থেকে মেয়েলি কণ্ঠে কে যেন
বলছে,এই লতিফ...তুই
যাবিনা...তোর দাদা আমার অনেক ক্ষতি
করেছে...আজ
তোকে পেয়েছি...দাঁড়া...(উনার দাদা
জিনদের
বেপারে অনেক কিছু করতেন,উনার জিন
ছাত্রও ছিল)।
উনি এরকমটা শুনে তখন জোরে দৌড়াতে
লাগলেন।
বাড়ির উঠানে আসতেই নিহাজ...(তার
ভাই)বলে ডাক
দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।এরপর
টানা প্রায় ১
সপ্তাহ উনার খুব জ্বর ছিল।আর বাড়ি
আসার পর উনার
গায়ের চাদরটা ছিলনা।পরদিন ঐ ঝাড়ে
গিয়ে
খুঁজতেই দেখা গেল,চাদরটা ১টা অনেক উঁচু
বাঁশের
আগায় ঝুলছে!এত উঁচুতে ঐ বাঁশের আগায়
ওভাবে
চাদরটা ঝুলানো কোন মানুশের পক্ষে
অসম্ভব!আর পরে
জানা গিয়েছিল যে,ঐ লোকটি(জিন)
ছিল উনার
দাদারই ছাত্র।ঐ রাতেই দাদাকে এসে
বলে
গিয়েছিল।এরপর থেকে ঐ পথে রাতে তো
দূরে
থাক,দিনেও অনেকদিন পর্যন্ত কোন মানুষ
চলাচল
করেনি।
পাটিয়েছেনঃ Prince [প্রিন্স]
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org