নিশীথ তৃষ্ণা

সেপ্টেম্বরের বিশ্রী এক সন্ধা।ঝিরঝির বৃষ্টি ঝরছে থামার কোন নাম নেই।একা বাসায় বসে থাকতে ভাল লাগছিল না।তাই বেরিয়ে পড়লাম।হাটতে হাটতে চলে এলাম হারবার রোডে কিছুটা এগোবার পরই চোখে পড়লো লারমা এনটিকস।দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম আধো আলো আধো অন্ধকারে গাদা করা বাকস মূর্তি চোখে পড়লো। শুভ সন্ধ্যা সিনর কিছু কিনবেন ছবি আংটি ফুলদানী? আমি বেটে মোটা লোকটার দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বললাম না কিছু কিনতে আসিনি একটু ঘুরে দেখব। লোকটার মুখে কোন অভিব্যক্তি ফুটল না এমন জবাব শুনতে সে অবভসত।সে একটি শেলফের দিকে এগিয়ে গিয়ে একটি সুদৃশ্য পানপাত্র বের করে দেখিয়ে বলল এটা ষোড়শ শতাব্দীর মাল সিনর কেনার মত জিনিস বটে। বললাম কোন এনটিকস নয় বই থাকলে দেখাও। বলল যে আমার কাছে বইপত্র আছে এমন কিছু বইপত্র যা আর অন্য কারো কাছে পাবেন না। লারলা আমাকে তার দোকান ঘরের পিছন দিকে নিয়ে যেতেই একটা বই বোঝাই শেলফ আমার নজর কেড়ে নিল। প্রথম বইটি শেলফ থেকে নিয়ে নজর বেলাতেই বুঝলাম এটা একটা পিশাচ কাহিনী। যদি ঘুণাক্ষরে টের পেতাম বইটা আমার জন্য অচিরেই নিয়ে আসছে দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি সঙ্গে সঙ্গে ওটাকে বর্জন করতাম আমি।কিন্তু হরর গল্পের প্রতি তীব্র আকর্ষণ আর বইটির কালো মখমলে মোড়া প্রচ্ছদ ও আমাকে আকৃষ্ট করল দারুণ ভাবে।