ভুতের গল্প ৪৪ চুয়াডাঙ্গার ভুত
আমার নাম রুদ্র বাসা চুয়াডাঙ্গা
জেলার আলমডাঙ্গা থানায়। আমি
হরর বা প্যারানরমাল একটিভিটিস
সম্পর্কে কখনও বিশ্বাস করতাম না,
যদি এই ঘটনাটি আমার সাথে না
ঘটত।
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৮।
সে আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগের
কাহিনী।
সেদিন আমার বন্ধু আর আমি দুজনে
মিলে ঠিক করলাম, মাছ ধরতে যাবো।
তো যেই ভাবা সেই কাজ। টাইমটা
ঠিক করা হল ভোর ৪টার সময়। আমার
বন্ধু শাহেদ রাতে ডাক দেয়ার সাথে
সাথে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমার
মাছ ধরার খুব শখ, তো সেই কারনে
উত্তেজনায় সারা রাত ঘুমাতে
পারিনি, দরজা খুলেই হাঁটা শুরু
করলাম। আমি শুনেছিলাম যে গভীর
রাতে কেউ ডাকলে তিন বার ডাকার
পর সাড়া দিতে হয়। কিন্তু এত কিছু
মনে ছিল না তখন। রাস্তায় চলার সময়
ও শুধু আমার পেছন পেছন হাঁটছিল,
আমি যতই বলি আমার পাশে আস্তে
সে মানল না।
গ্রামের মাঠের আইল দিয়ে হেঁটে
আমরা একটা ছোট পুকুরে পৌঁছলাম।
পুকুরে শুধু কাদাই ভর্তি ছিল পানি
কিছুই ছিল না। তাই হাতড়িয়ে
হাতড়িয়ে মাছ ধরা শুরু করলাম। আমি
প্রচুর মাছ পাচ্ছিলাম আর আমার
খলুইয়ে রাখছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ
যাওয়ার পর দেখি যে আমার
ঝাঁপিতে শুধু দুইটা মাছ আছে। আমি
মাছ ধরতে ধরতে দেখি আমার
পেছনে থাকা আমার বন্ধু ঝাঁপি
থেকে একটা একটা করে মাছ নিচ্ছে
আর গিলে ফেলছে।
চারিদিকে জোছনা থাকায় আমার
কিছুই বুঝতে অসুবিধা হলনা। আমি চুপ
করে মাছ ধরতে লাগলাম আর আমার
কাছে থাকা বল্লমটা ওর দিকে
ছুঁড়লাম, তারপর কিছু না ভেবেই দৌড়
দেয়া শুরু করলাম।
বাসায় পৌঁছানর পরেই আমি জ্ঞান
হারালাম। পরে শাহেদকে
জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছিল। সে
বলল আমি ডাকতে এসে দেখি তুই
চলে গিয়েছিস।